মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদে এক তরুণীর লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দাউদপুর এলাকায় মনু নদে বালুর চরে আটকে পড়া ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশের সঙ্গে ভারত সরকারের ইস্যু করা একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এতে কার্ডধারীর নাম পারভিন ফাতেমা, বয়স ১৮ বছর এবং রোহিঙ্গা উল্লেখ করা। তবে ওই তরুণীকে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনু নদের উৎপত্তি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। নদটি কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় নদে পানি কমে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বালুর চর জেগেছে। গতকাল বিকেলে দাউদপুরে বালুর চরে এক নারীর লাশ আটকে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ সময় লাশের সঙ্গে একটি মুঠোফোন ও আইডি কার্ড পাওয়া যায়।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপচার বলেন, লাশ পচে গেছে। আইডি কার্ডটি ওই তরুণীর হতে পারে, আবার না-ও পারে। তরুণী ভারতের কোনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হয়তো থাকতেন। এ কারণে আপাতত তাঁকে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যাম্প থেকে পালানো ৬ রোহিঙ্গা মাগুরায় আটক

বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়া ৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মাগুরা ডিবি পুলিশ।

শনিবার (১ মার্চ) তাদেরকে নিজ নিজ ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। 

আটকরা হলেন- সানাউল্লাহ, আইয়ুব, রাজিদা, হারেজ, আরজ এবং এরফান। তারা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্পের শরণার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মাগুরা ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মাগুরা-ফরিদপুর সড়কের ওয়াপদা বাজার এলাকায় পরিবহন তল্লাশিকালে ওই ছয় জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে রোহিঙ্গা নাগরিক সানাউল্লাহ কক্সবাজারের বালুখালীর শরণার্থী। 

ইতিমধ্যে তিনি রোহিঙ্গা পরিচয় গোপন করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি মোদ্রামাঘোনা এলাকার বাসিন্দা হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। নতুন আরও পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিকের পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতেই সানাউল্লাহ তাদেরকে নিয়ে যশোর যাচ্ছিলেন। পথে মাগুরায় ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন।

মাগুরা ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, “যথাযথ আইনি ব্যবস্থা শেষে আটক ছয় রোহিঙ্গাকে নিজ নিজ ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যাম্প থেকে পালানো ৬ রোহিঙ্গা মাগুরায় আটক