বরিশাল নগরীতে যুবদল নেতা সুরুজ গাজী (৩৫) নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীন হাওলাদারের বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় আগুন দিয়েছে স্থানীয় জনতা। 

সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এক ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরো পড়ুন: বরিশালে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

আরো পড়ুন:

শাহজাদপুরে ভবনে আগুন
ছাদের দরজা বন্ধ থাকায় ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা যান চারজন

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন 

এর আগে, জানাজা শেষে সোমবার বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার লামছড়িতে দাফন করা হয় সুরুজ গাজীকে। এরপর রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত শাহীন হাওলাদারের বাড়িতে আগুন দেয়। 

গত রবিবার সন্ধ্যায় সুরুজের মৃত্যুর পর স্থানীয়রা শাহীনের বাড়িতে আগুন দিয়েছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ গাজীকে কুপিয়ে হত্যা করে শাহীন হাওলাদারসহ তার দুই ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীন হাওলাদারসহ সাতজনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সুরুজের বড় ভাই শাহিন গাজী।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার রিয়াজ হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আগুন দেওয়া একটি অপরাধ। অভিযোগ পেলে এটিও আইনের আওতায় আসবে।

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন বর শ ল য বদল ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহিণী স্ত্রী ও মেয়েকে ব্যাংকের পরিচালক বসিয়ে দিচ্ছি, এটা চাই না: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘গৃহিণী স্ত্রী ও মেয়েকে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে বসিয়ে দিচ্ছি। তাঁদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নেই। আমরা এসব চাই না।’

আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘ব্যাংকের পরিচালক হতে ফিট অ্যান্ড প্রপার টেস্ট (অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা পরীক্ষা) পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যাঁরা এখন পরিচালক আছেন, তাঁরাসহ সবাইকে এই যাচাই–বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার গুণাবলি থাকতে হবে। ব্যাংকের মালিকদেরও এই যাচাই–বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যোগ্যতা থাকলে মালিকেরা পরিচালক হবেন, যোগ্যতা না থাকলে হবেন না। সিটি ব্যাংক এনএর মালিক কারা, তা কেউ জানেন না।’

ব্যাংক খাতের পুনরুদ্ধারের পথযাত্রা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন। ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। ইস্কাটনে পত্রিকার কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা হয়।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সরকারের ঋণ নিয়ে একটি চক্রের মধ্যে আছি। আমি সেই লোক নই যে চাটুকারিতা করে টাকা আনব। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি শক্তিশালী অবস্থায় আছে। বাজেট অর্থের জোগানের একমাত্র সমাধান হচ্ছে রাজস্ব আদায়।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আদায় ভালো হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দিকে তাকাতে হবে না। এ বছর ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার আসবে প্রবাসী আয় থেকে। আর রপ্তানি থেকে আসেব পাঁচ হাজার কোটি ডলার। এই দুটি খাত থেকে প্রায় আট হাজার কোটি ডলার পাব।’ তিনি মনে করেন, ‘আমাদের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর নীতি দরকার।’

মূল্যস্ফীতি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর। তিনি মনে করেন, মূল্যস্ফীতি কমলে সব ধরনের নীতি সুদহার কমে আসবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ