সুনীল গাভাস্কার বলছেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে ভারতের ভালোই হয়েছে। কারণ, শীর্ষ তিন পেসার প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলউডহীন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং-ধার অনেকটাই কমে গেছে। চোট আর অবসরের কারণে নেই তিন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ, ক্যামেরন গ্রিন ও মার্কাস স্টয়নিসও। আগামীকাল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতীয় দলও হয়তো খর্বশক্তির অস্ট্রেলিয়াকেই চেয়েছিল।

আরও পড়ুনঢাকায় ইতালিয়ান নাগরিক খুন, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আর খেলাই হল না ফেকেটের১২ ঘণ্টা আগে

কিন্তু ভারতকে যিনি সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন, সেই মানুষটি কিন্তু ঠিকই আছেন—ট্রাভিস হেড! গত দুই বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ মানেই যেন মোহাম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজাদের ‘হেডেক’ (মাথাব্যথা) এই হেড। মারকুটে এই ওপেনার ভারতীয় সমর্থকদের কাছেও হয়ে উঠেছেন মূর্তিমান আতঙ্ক। বিশেষ করে আইসিসির কোনো প্রতিযোগিতায় রোহিতের দলের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই তাঁর ব্যাটে চওড়া হাসি।

২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রান করেন হেড.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বছর ঘুরে বছর আসে, বনি-কৌশানীর কেন বিয়ে হয় না?

টলিউডের জনপ্রিয় তারকা জুটি বনি সেনগুপ্ত ও কৌশানী মুখার্জি। সিনেমায় এ জুটির রসায়নে বরাবরই মুগ্ধ হন দর্শকরা। ব্যক্তিগত জীবনেও চুটিয়ে প্রেম করছেন বনি-কৌশানী। এমনকি প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কোনো লুকোছাপাও নেই দুজনের। সম্পর্ক নিয়ে দুজনেই বেশ খোলামেলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বনি-কৌশানী নিয়মিত নিজেদের ঘনিষ্ঠ ছবিও পোস্ট করে থাকেন। এই প্রেমিক যুগলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাদের ভক্তরাও।

প্রায় এক দশক ধরে প্রেম করছেন বনি-কৌশানী। যার ফলে, গত কয়েক বছর ধরেই তাদের বিয়ের গুঞ্জন উড়ছে। গত বছর বনি সেনগুপ্ত বলেন, “২০২৫ সালের আগে কোনোভাবেই বিয়ে নয়। আর সেই আয়োজন অবশ্যই গ্র্যান্ড হবে। উৎসব বলা যেতে পারে। মেহেদি, সংগীত সমস্ত কিছুতে থাকবে ফিল্মি স্টাইল।”

নিজের বিয়ে নিয়ে নায়কের এই সংলাপ কলমের কালিতে আবদ্ধ, বিয়ের সানাই বাজেনি তাদের। বিয়ে নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা হওয়ার পরও কেন বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন না বনি-কৌশানী? এ নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম বনির মা পিয়া সেনগুপ্তর সঙ্গে কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

বাড়ি ফিরে অঝোরে কাঁদলেন ‘সারেগামাপা’ বিজয়ী দেয়াশিনী (ভিডিও)

সারেগামাপা’র বিজয়ীরা কে কত টাকার পুরস্কার পেলেন?

ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্সের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন পিয়া সেনগুপ্ত। ফলে, ব্যস্ত সময় পার করতে হয় তাকে। কথার শুরুতে ছেলের বিয়ে নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি নিজেও। পিয়া সেনগুপ্তর ভাষায়— “ছেলেটা আমার বিয়ে করছে না। কবে করবে কে জানে?”

পিয়া সেনগুপ্তর খুব ইচ্ছা, ছেলের বিয়ে এলাহি আয়োজন করে দেবেন। কৌশানীকে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন পিয়া। সব ঠিক পথেই এগোচ্ছে। কিন্তু ছেলে ও হবু পুত্রবধূর কর্মকাণ্ড দেখে নিরাশ তিনি। কিছুতেই বিয়ে করছেন না তারা। প্রতি বছর নানা বাহানা দিচ্ছেন।

পিয়া বলেন, “যখন জিজ্ঞাসা করি, ‘হ্যাঁ রে, বিয়ে করবি কবে?’ জবাবে বনি বলে, ‘এই তো পরের বছরই করব।’ কিন্তু একটা না-একটা সিনেমার কাজ চলে আসেই। আর বিয়েটা হয় না।” বছর ঘুরে যায়, পরের বছর চলে আসে। কিন্তু বনির মা পিয়ার সাধ আর মেটে না। ছেলেকে সংসারী হিসেবে দেখাও হয় না তার।

এরপর বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই অভিনেতা বলেন, “ওরে বাবা, আবার বিয়ের প্রশ্ন!” তারপর মা পিয়ার প্রসঙ্গ তুলতেই শান্ত স্বরে বনি বলেন, “মা অনেকদিন ধরেই চাইছেন আমি আর কৌশানী বিয়ে করে নিই। আমাদেরও তাই-ই ইচ্ছে। অনেক প্ল্যানিংও করে রাখা আছে। ডেস্টিনেশন বিয়ের কথাও ভেবে রেখেছি। কিন্তু ওই যে সিনেমার কাজ চলে আসছে, আমরা শুটিংয়ে মেতে উঠছি। আর বছর পার হয়ে যাচ্ছে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ