বন্ধ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ার কারণ ডিএসইকে তদন্তের নির্দেশ
Published: 4th, March 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বন্ধ কোম্পানির শেয়ারের দাম সাম্প্রতিক সময় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর কারণ তদন্তের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্প্রতি বিএসইসি’র সার্ভিল্যান্স বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নানু ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিএসইসি’র আদেশে বলা হয়েছে, কিছু তালিকাভুক্ত কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি সেইসব সিকিউরিটিজের লেনদেনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লেনদেন দেখা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন:
বিএসইসিতে অভিযানের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক
হামিদ ফেব্রিক্সের কোম্পানি সচিব নিয়োগ
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (বোর্ড ও প্রশাসন) প্রবিধান, ২০১৩ এর ১৬(৩)(সি)(ii) প্রবিধান অনুসারে, ডিএসই ট্রেডিং নিয়ম এবং শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা লঙ্ঘন তদন্ত করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
অতএব, ডিএসইকে এই চিঠি জারির ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে সন্দেহজনক লেনদেন বা সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন শনাক্ত করার জন্য তদন্ত করতে এবং সেইসব সিকিউরিটিজের লেনদেনে যেকোনো পর্যবেক্ষণ/অনুসন্ধান সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
ঢাকা/এনটি/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস ল নদ ন তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
রাশেদ মাকসুদ ও আবু আহমেদের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদের অপসরণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বিকেল ৩টার দিকে শাপলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় বিনিয়োগকারীর খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও আবু আহমেদের অপসরণ দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। পরে বিক্ষোভ শেষে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা বলেন, বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান অযোগ্য। তাকে দিয়ে এই পুঁজিবাজারে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তার প্রতি বিনিয়োগকারীদের কোনো আস্থা নেই। আমাদের টাকা ও মানসম্মান গেছে। পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের ফলে প্রতিদিন বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ফোর্সড সেল করা হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন।
গত দুই মাসে টানা দরপতনের ফলে আমাদের বিনিয়োগকৃত অর্থের ৮০-৯০ শতাংশ কমে গেছে। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বাঁচান। কারণ, এই বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রায় ১ কোটি মানুষ সম্পর্কিত। বিনিয়োগকারীরা অনেক কষ্টে আছেন। পুঁজি হারিয়ে আমরা এখন নিঃস্ব। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ওপর আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু, বর্তমান বিএসইসির কমিশনের প্রতি বিনিয়োগকারীদের কোনেো আস্থা নেই। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বিক্ষোভকালে আরো বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুঁজিবাজার ঠিক করতে না পারলে এবং রাশেদ মাকসুদ ও আবু আহমেদকে অপসরণ করা না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি পুরো ঢাকা শহরে হরতাল ঘোষণা করে অচল করে দিতে বাধ্য হব। এভাবে পুঁজিবাজার চলতে পারে না। পুঁজি হারিয়ে অনেক বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অবিলম্বে রাশেদ মাকসুদ ও আবু আহমেদকে অপসরণ করা হোক।
বিক্ষোভ চলাকালে ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম মানিক বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পুঁজিবাজার ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বিনিয়োগকারীদের ধ্বংস করে ফেলেছেন। পুঁজিবাজার ঠিক করার জন্য বিক্ষোভ করব। এটা আমার অধিকার। কিন্তু তিনি আমাদের এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ব্রোকারদের অংশগ্রহণ না করতে বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারে রক্তক্ষরণ আরো বেড়েছে। বিনিয়োগকারী বাজারছাড়া হয়েছেন। কয়েক লাখ বিনিয়োগকারী ফোর্সড সেলের স্বীকার হয়ে শূন্য হাতে চলে গেছে। তিনি আবার বলেছেন, পুঁজিবাজার সংস্কার করছি। এমন সংস্কার করছেন যে, পুঁজিবাজারের ৭০ থেকে ৮০ হাজার মূলধন হারিয়ে গেছে। বর্তমান বাজারে যে কয়টি পোর্টফোলিও জীবিত আছে তার ৮০-৯০ শতাংশ পুঁজি নাই। এভাবে আর পুঁজিবাজার চলতে দেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে রাশেদ মাকসুদ ও আবু আহমেদের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
ঢাকা/এনটি/এনএইচ