আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের প্রশংসা করলেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 4th, March 2025 GMT
“বাংলাদেশে বহু প্রতিষ্ঠান আছে। কেউ ৬ মাস, কেউ ১০ বছর টিকে। এতো দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রতিষ্ঠান টিকে আছে শুধু নয়, শক্ত আছে, মজবুত আছে, কার্যক্রম পরিচালনা করছে নানাদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে, এতিমদের দিকে নজর দিচ্ছে— এটা অবাক কাণ্ড।
এরকম আরও প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টান্ত উপমহাদেশে আছে কীনা আমার জানা নেই। আজকে আমরা গৌরববোধ করি যে, এরকম একটা প্রতিষ্ঠান যারা চালিয়েছে, সময় দিয়েছে, মেধা দিয়েছে, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”
রাজধানীর কাকরাইলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের প্রশংসায় এ কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
সোমবার (৩ মার্চ) কাকরাইলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের নতুন ভবন আঞ্জুমান জে আর টাওয়ারের উদ্বোধনের পর প্রধান উপদেষ্টা সেখানে এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতার করেন।
ইফতারের আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম না থাকলে আমরা জানতামও না, এই লাশের কী হয়েছিল। এটা একটি প্রতীক মনে হোক, যে-সব দুর্বলতা সমাজের মধ্যে আছে সেগুলো যেন আমরা দূর করতে পারি। আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মতো মনোযোগ দিলে বহু সমস্যার সমাধান আমরা নিজেরাই করে ফেলতে পারি।”
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আলী ইমাম মজুমদার, আঞ্জুমানে মফিদুলের সভাপতি মুফলেহ আর ওসমানী এবং সহ-সভাপতি গোলাম রহমান।
ঢাকা/হাসান/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম রেলওয়েতে দুদকের অভিযান
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে বিল-ভাউচার ছাড়া ১০ লাখ টাকার ভুয়া ভ্রমণ বিল আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
রোববার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলমের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায়। এসময় তারা রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক ম্যানেজারের কার্যালয় ও অডিট কার্যালয়ের নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেন।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, বিল ভাউচার ছাড়া অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে দুদকের একটি টিম অভিযান চালিয়েছে। টিমের সদস্যরা আর্থিক অনিয়মের যাবতীয় নথিপত্র পর্যালোচনা করছেন। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেলের পরিবহন অডিট অধিদপ্তরের অডিটে ভ্রমণ বিলে এ ধরনের অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে (ডিসিও) জানানো হলেও বিল-ভাউচার খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ওঠে।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর ডিসিও বরাবরে অডিট মেমো দিয়ে বিল-ভাউচার ছাড়া ভ্রমণ ব্যয় তোলার বিষয়টি জানানো হয়। অডিট মেমোতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বিল-ভাউচার ছাড়াই ভ্রমণ বিল বাবদ ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৮ টাকা তুলে নেওয়া। এতে সরকারের ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৮ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
যদিও চট্টগ্রাম বিভাগের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা (ডিএফএ) সুগ্রীব চাকমা বলেন, এটি ভুয়া অভিযোগ। হিসাব বিভাগে এরকম কোনো ঘটনায় ঘটেনি। আমি এরকম কোনো তথ্য পাইনি। হিসাব বিভাগ থেকে এরকম কোনো বিল পাশ হয়নি।