বিশ্বের ১২৬ নগরীর মধ্যে আজ মঙ্গলবার সকালে বায়ুদূষণে সপ্তম স্থানে আছে ঢাকা। আজ সকাল ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৫৯। এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়।
বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।
আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে বায়ুর মান ১২৬, রাজশাহীতে ১৫৪ ও খুলনায় ১৫১। প্রতিটি শহরের বায়ুমান অস্বাস্থ্যকর।
রাজধানীর বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।
দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বউ বলেছিল অস্কার জিতলেই চতুর্থ সন্তানের বাবা হতে পারবে: কেইরান
৯৭তম অস্কার আসরে ‘আ রিয়াল পেইন’ ছবির জন্য সেরা সহ-অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা কেইরান কালকিনে। পুরস্কার হাতে নিয়ে মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়েই তিনি যা বললেন, তাতে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড-এর অনুষ্ঠানে সবাই হাসিতে ফেটে পড়েছিল।
এদিন রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের হাত থেকে পুরস্কার নিয়ে কেইরান কালকিনকে রসিকতা করে বলতে শোনা যায়, ‘হে ঈশ্বর, এটা দারুণ আমি জানতামও না অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার কাছে এটা বড় প্রাপ্তি।’
তিনি বলেন, ‘দাঁড়ান, আপনাদের সকলের সঙ্গে একটা কথা শেয়ার করি। জ্যাজের সঙ্গে আমার একটা চুক্তি হয়েছিল সন্তান নিয়ে সেটাই বলব। দয়া করে মিউজিক চালিয়ে দেবেন না কেউ। এক বছর আগে, আমি জ্যাজকে বলেছিলাম, আমার তৃতীয় সন্তান চাই।’
তার কথায়, ‘ও আমাকে শর্ত দিয়েছিল যদি আমি এমি পুরস্কার জিতে ফিরি, তাহলেই সন্তান নিয়ে আসবে। ও ভাবেনি আমি জিততে পারি। সে যাই হোক! শো শেষের পর যখন পার্কিং লট দিয়ে যাচ্ছি তখন জ্যাজ আমাকে বলে- হে ঈশ্বর, আমি তোমাকে কথাটা বললাম, মানে এবার আমায় তৃতীয় সন্তান নিয়ে আসতে হবে।’
শেষে বলেন, ‘আমি পালটা বলি, আমার চার নম্বর সন্তানও চাই। জ্যাজ আমাকে আবার শর্ত দেয় যে তুমি অস্কার জিতলেই আমি তোমাকে চতুর্থ সন্তান দেব।’