আলভারেজ–ছোঁয়ায় কি এবার আতলেতিকোর গল্প বদলে যাবে
Published: 4th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ মানেই আতলেতিকো মাদ্রিদের কিছু দুঃসহ স্মৃতি। বারবার যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়ার গল্প। এবার সেই গল্পের প্লট পাল্টাতেই কোমর বেঁধে নেমেছে রিয়ালের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজে ভর করেই বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে মাদ্রিদের ‘দ্বিতীয়’ দলটি।
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ইউরোপে আতলেতিকোর এবার অন্য রকম কিছু করতে পারবে কি না, সেটির প্রথম পরীক্ষা আজ। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচটির মঞ্চ আজ রিয়ালের সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় ইউরোপীয় ‘মাদ্রিদ ডার্বি’তে মুখোমুখি হবে দুই দল।
তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে তিনবারই রানার্সআপ হয়েছে আতলেতিকো। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে সর্বশেষ দুবার ফাইনালে উঠে দুবারই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের শিরোপা জয়ের উৎসব করতে দেখেছে আতলেতিকো। এ ছাড়া ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে এবং ২০১৭ সালে সেমিফাইনালেও রিয়ালের কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয় দলটিকে।
অনুশীলনে হুলিয়ান আলভারেজ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইইউ
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।
ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।
ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।