গোপালগঞ্জে নসিমন বিলের পানিতে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত
Published: 4th, March 2025 GMT
গোপালগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি নসিমন বিলের পানিতে পড়ে সদানন্দ বালা (৩৫) ও নিরঞ্জন পান্ডে (৩৫) দুইজন শ্রমিক নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো দুইজন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সদানন্দ বালা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভোজেরগাতি গ্রামের কমল বালার ছেলে ও নিরঞ্জন পান্ডে কোটালীপাড়া উপজেলার পোলসাইর গ্রামের হরশিত পান্ডের ছেলে।
ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, একটি নসিমনে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি বোঝাই করে কয়েকজন শ্রমিক শেওড়াবাড়ি থেকে কাজুলিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় নসিমনটি কাজুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে চালক অপর একটি ভ্যানকে সাইড দিতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিলের পানির মধ্যে পড়ে যায়। এতে নসিমনের নিচে পড়ে পানিতে ডুবে ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিক সদানন্দ ও নিরঞ্জন নিহত এবং অপর দুইজন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি আরো জানান, আবেদনের প্রক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে নিহতদের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/বাদল/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু রোজা রাখতে চাইছে, কী করবেন
আট, দশ বছর বয়স থেকেই মুসলিম পরিবারের অনেক শিশু রোজা রাখতে শুরু করে। বাবা, মায়েরা অনেক সময় চিন্তায় পড়ে যান, এই বয়সে শিশুর জন্য রোজা রাখা ঠিক হবে কিনা। ইসলামী চিন্তাবিদের পরামর্শ, তবে শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে তারা কোনোরকম চাপ অনুভব না করে। পুষ্টিবিদরাও একই পরামর্শ দিচ্ছেন।
পুষ্টিবিদ সামিনা জামান কাজরী একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘অনেক মা চিন্তা করেন যে, আমার শিশুটি বা ছেলেটি বা মেয়েটি সারাদিন না খেয়ে থাকবে। ওর সারাদিনের পুষ্টি বা চাহিদা সেটা কি মিটবে। কিন্তু আসলে যদি আমাদের ধর্মীয় দিক থেকে চিন্তা করতে হয় তাহলে কখন রোজাটা শুরু করতে হবে। বলা হয়েছে, ‘সাবালক হলে রোজা ফরজ’। সাবালক হওয়ার আগে থেকেই শিশুকে আস্তে আস্তে রোজা রাখায় অভ্যস্ত করে তোলা যেতে পারে।’’
রোজাদার শিশুর যত্ন
সামিনা জামান কাজরীর পরামর্শ, শিশুকে ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার দিতে হবে। শিশুরা যেসব খাবার পছন্দ করে, যেমন তরমুজের রস অথবা বাঙ্গির রস। মালটার জুস অনেক শিশুই পছন্দ করে।এ পানীয় ইমিউনিটি তৈরি করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। একইভাবে আপনি তাকে একটি স্যান্ডউইচও দিতে পারেন। যেটাতে চিজ এবং চিকেন দুটোই আছে। চিজ কিন্তু অল্প পরিমাণে খেলেও শিশুদের একটা ‘হেভি ফিলিংস’ দেয়। একইভাবে শিশুর রাতের খাবারে কার্ব জাতীয় খাবার থাকতে হবে। ডিম, মাছ, মাংস অবশ্যই যেন থাকে। এবং সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকতে হবে।
শিশুকে ইফতারে, রাতের খাবারে এবং সেহেরি এমন খাবার দিতে হবে যাতে ডিহাইড্রেশনের কোন সম্ভাবনা না থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, পানীয়, ফল ও সবজি শিশুকে খাওয়াতে হবে। এই ধরণের খাবার রোজাদার শিশুর খাদ্য তালিকায় থাকলে তার ক্যালরির কোনো ঘাটতি হবে না।
আরও বিস্তারিত জানার জন্য একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
ঢাকা/লিপি