সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে নির্বাচিত ৬৫৩১ প্রার্থীর যোগদানের তারিখ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১২ মার্চ চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের স্ব স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে গিয়ে যোগদান করতে হবে।

সোমবার (৩ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেবেকা সুলতানার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

শেষ হলো ঢাবি শিক্ষকদের ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

রাজধানীর লোকাল বাসে মারধরের শিকার ঢাবি শিক্ষক

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্বখাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩’-এর তৃতীয় গ্রুপের (ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগ) নির্বাচিত ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি, যোগদান ও পদায়নের বিষয়ে নির্দেশক্রমে প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা হলো।

এতে আরো বলা হয়, নির্বাচিত প্রার্থীদের; যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে অন্যান্য ডকুমেন্টস জমা দিয়েছেন তাদের অনুকূলে ৪ মার্চ নিয়োগপত্র জারি করা হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১২ মার্চের মধ্যে যোগদান করতে হবে।

প্রার্থীদের যথাযথভাবে পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার (এসবি) বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে প্রেরণ ১৩ মার্চ এবং একই দিন পদায়ন আদেশ জারি করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি না হলে জেলা অফিসে যোগদান না করলে বা পদায়িত বিদ্যালয়ে যোগদান না করলে (কারণ ও মতামতসহ) ২০ মার্চ তালিকা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যা, মা আটক

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুটির নাম খাদিজা খাতুন (দেড় বছর)। সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে। গ্রেপ্তার নারীর নাম আসমা খাতুন (২৪)।
আটক আসমার বোন রেশমা খাতুন জানান, ২০২১ সালের জুন মাসে তাঁর বোন আসমার সঙ্গে একই উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। পরে তাঁর বোনের তানভির হোসেন ও খাদিজা খাতুন নামের দুটি সন্তান হয়। সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এ কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার আসমাকে চিকিৎসার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আনা হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা তাঁর শিশুমেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় রেখে ঘুম পাড়াচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্নাঘর থেকে ধারালো বঁটি নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় খাদিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

পরে প্রতিবেশীরা আসমাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাব্বর হোসেন জানান, শিশুসন্তানকে হত্যার পর আসমা সেখানেই বসে ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারানোর কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু খাদিজার লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ