বাংলাদেশের শিশুপুষ্টি পরিস্থিতি: বিদ্যমান অবস্থা ও উন্নয়নের পথ
Published: 4th, March 2025 GMT
+অংশগ্রহণকারী:
ডা. তাহমিদ আহমেদ
নির্বাহী পরিচালক, আইসিডিডিআরবি
ডা. আবু মুহাম্মদ জাকির হোসেন
চেয়ারম্যান, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্ট; সদস্য, স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন
ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা
অধ্যাপক, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী
অধ্যক্ষ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
খায়রুল ইসলাম
আঞ্চলিক পরিচালক, ওয়াটারএইড সাউথ এশিয়া
অধ্যাপক ডা.
ফারহানা দেওয়ান
প্রেসিডেন্ট, অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)
অধ্যাপক ডা. আনজুমান আরা সুলতানা
লাইন ডিরেক্টর, জাতীয় পুষ্টি সেবঅধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক
পরিচালক, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট
ডা. মো. মজিবুর রহমান
পরিচালক, শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
ডা. মো. আকতার ইমাম
উপপরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ
ডা. শ্যামল কুমার রায়
ল্যাবরেটরি প্রধান, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান
ফারিয়া শবনম
ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার, মাতৃ ও শিশু পুষ্টি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
সঞ্চালনা:
ফিরোজ চৌধুরী
সহকারী সম্পাদক, প্রথম আলো
আলোচনাডা. তাহমিদ আহমেদ
নির্বাহী পরিচালক, আইসিডিডিআরবি
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে উচ্চতা বৃদ্ধি না পাওয়াকে বলা হয় স্টান্টিং বা খর্বকায় হওয়া। এটি অপুষ্টির একটি ফলাফল। এ ধরনের শিশুর অসুস্থতার হার অনেক বেশি। তাদের অকালে মৃত্যুর হারও বেশি। গবেষণয় দেখা গেছে, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মুখে খাওয়া টিকার কার্যকারিতা কম। যেসব শিশু খর্বাকৃতির হয়, তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ কম হয়। আমাদের দেশে অতি কৃশকায় শিশুর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ। এদের মৃত্যুঝুঁকি ১১ থেকে ১২ গুণ বেশি।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে পুষ্টি। আমাদের শিশুদের খর্বাকৃতি ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে কৃশকায় হওয়ার হার ৫ শতাংশের কম হতে হবে। বাংলাদেশে এটি এখন আছে ১১ শতাংশ। আর ১৫ শতাংশ হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থার কথা বলেছে। আমরা তা থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। শিশুর জন্মের পর থেকে তিন মাসের মধ্যে খর্বাকৃতির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। সারা পৃথিবীর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়া খর্বাকৃতির হার বেশি।
যেসব দেশে স্বাস্থ্য খাতের মোট বাজেটের বড় অংশ খরচ হয় পুষ্টিতে, সেখানে খর্বাকৃতি, কৃশকায়, অপরিণত নবজাতক জন্ম, কম ওজনের নবজাতক জন্মের হার কম। সুতরাং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বাজেট তৈরির সময় এই জায়গায় আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। ১০ বছর আগে বিশ্বব্যাপী কয়েকটি দেশের উপাত্ত নিয়ে খর্বাকায় শিশুদের নিয়ে গবেষণা করেছি। তাতে দেখা যায়, শিশু জন্মের সময় তার ওজন কেমন তা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কম হলে তার খর্বাকৃতির বা কৃশকায় হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। মা অপুষ্টিতে ভুগলে শিশুর অপুষ্টিতে ভোগার ঝুঁকি থেকেই যায়। শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখন থেকেই তার পুষ্টি গ্রহণ শুরু হয়ে যায়। গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে তার প্রথম এক হাজার দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সবচেয়ে বেশি হয়। এই জায়গায় ভূমিকা রাখলে অপুষ্টি দূর করা সম্ভব হবে।
আমাদের স্বাস্থ্য খাতের মোট বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। ইন্দোনেশিয়া বা থাইল্যান্ডের মতো যেসব দেশে পুষ্টির অবস্থা আগে খারাপ ছিল কিন্তু এখন ভালো হয়েছে, সেসব দেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তৃণমূলে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিশোরীদের পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। গর্ভাবস্থায় এমএমএস (মাল্টিপল মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সাপ্লিমেন্ট) দিতে হবে। এটি মা ও তার গর্ভের শিশু, উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেস্ট ফিডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ—এটি আমাদের দেশে আরও বাড়াতে হবে। অনেক উন্নত দেশেও এ হার আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। তারা এটি করতে পারলে আমরা কেন পারব না।
তোলা খাবার বা পরিপূরক খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর খাবারের মধ্যে সবজি থাকতে হবে। তাকে অর্ধেকটা হলেও ডিম দিতে হবে। বাকি অর্ধেক মা খেতে পারেন। মায়েরও পুষ্টির প্রয়োজন। খাবার অল্প হলেও ছোট মাছ রাখতে হবে। ইপিআই কর্নার থেকেও এ বিষয়ে কিছুটা কাউন্সেলিং করা যেতে পারে। কমিউিনটিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা জরুরি। কিশোরীদের পুষ্টিজ্ঞান বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যালয়ে খাবারের বৈচিত্র্য সম্পর্কে শেখাতে হবে। এ বিষয়টি শিক্ষাক্রমে যুক্ত করতে হবে এবং প্রাথমিকের শিক্ষকদের কার্যকর ও অর্থবহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
শহরের বস্তিতে অনেক বেশি মানুষের বসবাস। তাদের এখানে স্যানিটেশন থেকে শুরু করে কোনো ব্যবস্থাই স্বাস্থ্যকর নয়। বস্তিতে খর্বাকৃতির হার জাতীয় গড়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। শহরের বস্তির শিশুদের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিশেষ নজর দেবেন। সারা দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ওএমএস কর্মসূচি চালু রাখতে হবে, অনেক মানুষ এ থেকে উপকৃত হয়। ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির দিতে নজর দিতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্যকর নাশতার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে। আইসিডিডিআরবির পক্ষ থেকে আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।
ডা. আবু মুহাম্মদ জাকির হোসেন
চেয়ারম্যান, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্ট; সদস্য, স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন
অপুষ্টির কারণে শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয় না। শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থাসহ তার প্রথম এক হাজার দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শিশুর পুষ্টির ঘাটতিতে যে ক্ষতি হয়, তা কখনোই পূরণ হয় না। শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে এ ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে এবং বিনিয়োগ করতে হবে। এখানে মায়েদের সম্পৃক্ত করতে হবে। শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতে তাঁরাই বড় ভূমিকা নিতে পারেন।
বাংলাদেশে অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর কমপক্ষে সাত হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। শিশুর অপুষ্টি দূর করতে বহু পক্ষের সমন্বয় প্রয়োজন। অনেক অর্থ খরচ করার পরও এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিংয়ের হার এখনো ৫০ শতাংশে আটকে আছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন বেশ কিছু সুপারিশ নিয়ে কাজ করছে।
মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতে কমিউনিটি পর্যায়ে এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য খাতের অনেকগুলো জরিপের উপাত্ত পুরোপুরি সঠিক নয়। স্বাস্থ্য ও পুষ্টির প্রশিক্ষণও অর্থবহ নয়। অর্থবহ প্রশিক্ষণ ও যথাযথ উপাত্ত না পেলে ভালো পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়, বাস্তবায়নও সম্ভব হবে না। সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রচারণার উপকরণে যেসব বার্তা থাকে, তা সহজ ভাষায় সবার বোঝার উপযোগী করে তৈরি করা জরুরি। আমাদের চিকিৎসক বা প্রান্তিক পর্যায়ে যে কর্মীরা আছেন, তাঁদেরকে গণযোগাযোগের কৌশলের ওপর জোর দিতে হবে।
বাংলাদেশে কমিউনিটি পর্যায়ে যাঁরা আছেন, তাঁরা সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করেন। ফলে সব ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সেবা প্রদান সম্ভব হয় না। তাঁদের ভূমিকা নির্দিষ্ট করে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি একটি সমাধান পাওয়া যাবে।
ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা
অধ্যাপক, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
শিশুর জীবনের প্রথম ২৪ মাসে পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশু প্রথমত মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে পুষ্টি পায়। শিশুর বয়স ছয় মাস হলে মাতৃদুগ্ধের পাশাপাশি পরিপূরক খাদ্যও দিতে হবে। এ ধরনের খাদ্য কেমন হওয়া উচিত? এই খাবার কঠিন, অর্ধকঠিন বা তরলও হতে পারে। তবে এতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান, যেমন আমিষ, স্নেহ, শর্করা, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকা প্রয়োজন। এই খাদ্যের মাধ্যমে শিশু সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে, একই সঙ্গে তার মস্তিষ্কের বৃদ্ধিও নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় অপুষ্টির কারণে অনেক শিশু খর্বকায় ও কৃশকায় হচ্ছে। এ ধরনের শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল থাকে, ফলে মৃত্যুঝুঁকি বেশি থাকে। বাংলাদেশে শিশু অপুষ্টির কারণ হতে পারে প্রথমত, আমরা যে মানসম্পন্ন খাদ্যের কথা বলছি, তা আমাদের শিশুরা পাচ্ছে না। দ্বিতীয় কারণ হতে পারে, যে পরিমাণে খাদ্য তাদের পাওয়ার কথা ছিল, সে পরিমাণে তারা পাচ্ছে না। এটা ক্রয়ক্ষমতা বা অন্য যেকোনো কারণে হতে পারে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যে বৈচিত্র্য কম।
শিশুদের খাদ্যের মান কেমন হবে, খাবারের বৈচিত্র্যতা, কতবার সে খাবে, কতটুকু খেতে পারবে, সে জন্য একটা সূচক রয়েছে, যা সরকারের উদ্যোগে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এটি হয়তো সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। আমরা যে জায়গায় পৌঁছাতে চাই, তা থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে অবস্থান করছি। সুতরাং এ কথা বলা যায়, দুই বছর পর্যন্ত শিশুদের পরিপূরক খাদ্য খুবই অপ্রতুল। এ বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষা ও বরাদ্দের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি করা গেলে আমাদের সন্তানেরা স্বাস্থ্যকরভাবে ও সুনাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠবে।
TANVIR AHAMMEDউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব স থ যকর আম দ র স ক জ কর পর প র প রথম সবচ য় ত করত ধরন র ব ষয়ক
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু রোজা রাখতে চাইছে, কী করবেন
আট, দশ বছর বয়স থেকেই মুসলিম পরিবারের অনেক শিশু রোজা রাখতে শুরু করে। বাবা, মায়েরা অনেক সময় চিন্তায় পড়ে যান, এই বয়সে শিশুর জন্য রোজা রাখা ঠিক হবে কিনা। ইসলামী চিন্তাবিদের পরামর্শ, তবে শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে তারা কোনোরকম চাপ অনুভব না করে। পুষ্টিবিদরাও একই পরামর্শ দিচ্ছেন।
পুষ্টিবিদ সামিনা জামান কাজরী একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘অনেক মা চিন্তা করেন যে, আমার শিশুটি বা ছেলেটি বা মেয়েটি সারাদিন না খেয়ে থাকবে। ওর সারাদিনের পুষ্টি বা চাহিদা সেটা কি মিটবে। কিন্তু আসলে যদি আমাদের ধর্মীয় দিক থেকে চিন্তা করতে হয় তাহলে কখন রোজাটা শুরু করতে হবে। বলা হয়েছে, ‘সাবালক হলে রোজা ফরজ’। সাবালক হওয়ার আগে থেকেই শিশুকে আস্তে আস্তে রোজা রাখায় অভ্যস্ত করে তোলা যেতে পারে।’’
রোজাদার শিশুর যত্ন
সামিনা জামান কাজরীর পরামর্শ, শিশুকে ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার দিতে হবে। শিশুরা যেসব খাবার পছন্দ করে, যেমন তরমুজের রস অথবা বাঙ্গির রস। মালটার জুস অনেক শিশুই পছন্দ করে।এ পানীয় ইমিউনিটি তৈরি করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। একইভাবে আপনি তাকে একটি স্যান্ডউইচও দিতে পারেন। যেটাতে চিজ এবং চিকেন দুটোই আছে। চিজ কিন্তু অল্প পরিমাণে খেলেও শিশুদের একটা ‘হেভি ফিলিংস’ দেয়। একইভাবে শিশুর রাতের খাবারে কার্ব জাতীয় খাবার থাকতে হবে। ডিম, মাছ, মাংস অবশ্যই যেন থাকে। এবং সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকতে হবে।
শিশুকে ইফতারে, রাতের খাবারে এবং সেহেরি এমন খাবার দিতে হবে যাতে ডিহাইড্রেশনের কোন সম্ভাবনা না থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, পানীয়, ফল ও সবজি শিশুকে খাওয়াতে হবে। এই ধরণের খাবার রোজাদার শিশুর খাদ্য তালিকায় থাকলে তার ক্যালরির কোনো ঘাটতি হবে না।
আরও বিস্তারিত জানার জন্য একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
ঢাকা/লিপি