অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা এবং জাতীয় মুদ্রা ইরানি রিয়ালকে প্রায় ডুবিয়ে দেওয়ার দায়ে অর্থমন্ত্রী আবদোলনাসের হিম্মাতিকে অব্যাহতি দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। হিম্মাতি দেশের অর্থনীতির পদে থাকবেন কিনা– এ প্রশ্নে রোববার ভোট হয় ইরানের পার্লামেন্টে। তাতে হিম্মাতির বিপক্ষে ভোট দেন ১৮২ জন এবং পক্ষে ভোট দেন ৮৯ এমপি।

ফলে ভোটের পরেই কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় হিম্মাতির বিদায়, যিনি সাত মাস আগে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের গঠিত মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর পদে ছিলেন। হিম্মাতি অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর রিয়ালের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। 

গত বছর যখন তিনি মন্ত্রী হন, সে সময় এক ডলারের বিপরীতে পাওয়া যেত ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০, বর্তমানে ডলারের বিপরীতে রিয়ালের মান নেমে পৌঁছেছে ৯ লাখ ২৭ হাজারে। রয়টার্স।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশাচালককে জুতাপেটা করা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরখাস্ত

রিকশাচালককে জুতাপেটা করা রাজশাহীর পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৫ (প্রশাসন ও শৃঙ্খলা) শাখার এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন। এই প্রজ্ঞাপনের কপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

এবার ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে ইফতার করালো রাবি প্রশাসন

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণইফতার আয়োজন করে অভিনব প্রতিবাদ

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “রিকশাচালককে নির্দয়ভাবে প্রহার করার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ধরনের আচরণ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার এ ধরনের আচরণ অশোভনীয়, অসংগত, চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তাই সরকারি চাকরি আইন ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। জাহিদ হাসান বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।” 

এর আগে, গত শুক্রবার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, কোয়ার্টারের সামনে জাহিদ হাসান রাসেল এক রিকশাচালককে পায়ের জুতা খুলে পেটান। পরে প্রাইভেট কারের ব্যাকডালা থেকে লাঠি বের করে চালকের শরীরে ও রিকশায় আঘাত করতে থাকেন তিনি। এ ছাড়া, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতেও দেখা যায় তাকে।

এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সোমবার (৩ মার্চ) পর্যন্ত দুই দিন ছুটি নেন জাহিদ। গত রবিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ঘটনার জন্য তিনি অনুতপ্ত বলে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, “এমন ঘটনা কি আর কারও জীবনে ঘটেনি? আমি অন্যায় করেছি। কিন্তু, এত বড় শাস্তি কি আমার পাওনা ছিল?” ওই ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমাও প্রার্থনা করেন সমাজসেবা কর্মকর্তা।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার ওই ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে গত শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে রবিবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছেন ইউএনও। এই তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই জাহিদ হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করল মন্ত্রণালয়।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ