Samakal:
2025-03-03@23:35:54 GMT

রোজা রেখে ডায়াবেটিস পরীক্ষা

Published: 3rd, March 2025 GMT

রোজা রেখে ডায়াবেটিস পরীক্ষা

অনেকের মাঝে বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে রোজা রেখে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করলে রোজা ভেঙে যায়। শুরুতেই বলে রাখা দরকার রোজা অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
কেন চিনির মাত্রা জানতে হবে
ইনসুলিন এবং ডায়াবেটিস চিকিৎসার কিছু ওষুধ রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। রক্তে বিদ্যমান চিনির মাত্রা নির্দেশ করবে আপনার পরবর্তী করণীয়। আজকাল বাসায় বসে রোগী খুব সহজেই গ্লুকোমিটার দিয়ে এই পরীক্ষা করতে পারেন। রক্তে চিনির মাত্রা কমে গেলে শরীরে ব্যাপক বিপত্তি দেখা দিতে পারে, এমনকি রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। দীর্ঘসময় চিনির মাত্রা কমে গিয়ে স্থায়ী স্নায়ুবৈকল্য হতে পারে। মৃত্যু পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।
রক্তে চিনির মাত্রা ৩.

৯ মি. মোল/লিটার এর নিচে নেমে গেলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে। এছাড়া ডায়াবেটিস বেড়ে গেলেও ভীষণ জ টিলতা তৈরি হতে পারে।  ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে নিয়মিত চিনির মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি। 
কাদের জন্য প্রয়োজন
রক্তে চিনির মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। ডায়াবেটিসের ধরন এবং চিকিৎসার জন্য সেবন করা ওষুধের মাঝে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। যাদের রোজা রাখলে বিপদের ঝুঁকি বেশি তাদের ক্ষেত্রেও রক্তে চিনির মাত্রা পরখ করা জরুরি। যাদের রোজা রাখলে ঝুঁকির মাত্রা মৃদু তাদের দিনে একবার গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয় করা যথেষ্ট। যাদের ঝুঁকির মাত্রা তীব্র তাদের বারবার এটি নির্ণয় করার দরকার। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুবৈকল্যের কারণে চিনির মাত্রা নিচে নেমে গেলেও অনেক সময় তারা তা ঠাওর করতে পারেন না। সেজন্য এসব রোগীকে মাঝে মধ্যেই চিনির মাত্রা জেনে নেওয়া দরকার। যারা দীর্ঘদিন ধরে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ভুগছেন কিংবা যাদের কিডনি বিকল হয়ে গেছে তারা তীব্র ঝুঁকির ভেতরে অবস্থান করছেন। সুতরাং এ সমস্ত রোগীকে বারবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরখ করা জরুরি।
কখন চিনির মাত্রা জানবেন
সাধারণত সাহ্‌রির সময়, সকালে, মধ্যাহ্নের পর, ইফতারের আগে, ইফতারের ২ ঘণ্টা পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা জেনে নেওয়া জরুরি। এছাড়া যে কোনো সময় যখন রোগী তার রক্তে চিনির মাত্রা কমে বা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ অনুভব করবেন তখনই তিনি তার মাত্রা জেনে নেবেন।
করণীয়:
রক্তে চিনির মাত্রা বিপদসীমার নিচে নেমে গেলে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে। চিনির মাত্রা যদি অনেক বেড়ে যায় তাহলে প্রয়োজনবোধে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যারা স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ইনসুলিন নিচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে হবে। রোজা রেখে ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়ানো বা কমানোতে কোনো ক্ষতি নেই। মনে রাখা দরকার রোজা রেখে দিনের বেলায় ইনসুলিন নেওয়া যায়।
[মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট
সিএমএইচ, বরিশাল]
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইনস ল ন পর ক ষ দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ 

ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের পদত্যাগপত্র পোস্ট করেছেন তিনি। গত ছয় মাস নিজের ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ‘সবচেয়ে তিক্ত’ সময় উল্লেখ করে পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, গত ছয় মাস ধরে তিনি ও তাঁর পরিবারকে জঘন্য অপমান ও অপবাদ সহ্য করতে হয়েছে। খবর-আনাদোলু
  
তবে জারিফের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। পদত্যাগপত্রে জারিফ আরও লেখেন, জাতীয় স্বার্থ এগিয়ে নিতে ছোটখাটো ভূমিকা রাখায় গত চার দশকে আমি অসংখ্য অপমান ও অভিযোগ সহ্য করেছি। বিরামহীন মিথ্যা ও বক্তব্য বিকৃতির মুখেও দেশের স্বার্থে আমি এত দিন চুপ ছিলাম। আশা করছি, আমার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সরকারের সফলতার পথে বাধা দূর হবে।

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির আমলে আট বছর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জারিফ। ২০১৫ সালে পশ্চিমাদের সঙ্গে করা ইরানের পরমাণু চুক্তিতে তিনি মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। জারিফকে নিজের সরকারে কৌশলগতবিষয়ক পরামর্শদাতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। নির্বাচনী প্রচারে পেজেশকিয়ানের পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন জারিফ।

সমালোচকদের অভিযোগ, জাভেদ জারিফকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেওয়ায় সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। কারণ, তাঁর সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে। পেজেশকিয়ানের মন্ত্রিসভা থেকে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা তাঁকে অপসারণ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ