Samakal:
2025-04-23@18:38:34 GMT

অসহ্য কোমর ব্যথা

Published: 3rd, March 2025 GMT

অসহ্য কোমর ব্যথা

কোমর ব্যথা কি মানসিক রোগ? এই কথার ‘ছোট উত্তর’ দেওয়া দুরূহ। বিষয়টি বোঝাতে একটি উদাহরণ টানা প্রয়োজন। আমরা সবাই ‘মরা নদী’ চিনি। যৌবনকালে কুলকুল করে বয়ে চলা নদীর পানি শুকিয়ে যায় কিন্তু তার পথধারা বহুকাল পরেও থেকে যায়; চিহ্ন দেখে আলবত বোঝা যায় এক সময় এখানে নদী ছিল। অর্থাৎ পানি শুকিয়ে গেলেও থেকে যায় দাগ। 
ধরুন, সামান্য বা মাঝারি মানের ডিস্ক প্রল্যাপস, যা পিএলআইডি নামে সর্বাধিক পরিচিত, সেই কারণে আপনার কোমর ব্যথা হলো। ডিস্ক আগের জায়গায় ফিরে গেল ঠিকই; তীব্র ব্যথাও কমে গেল কিন্তু মৃদু থেকে মাঝারি ব্যথা রয়েই গেল। এই ব্যথা শরীরে বয়ে চলল দীর্ঘকাল, ঠিক মরা নদীর মতো। 
কারও যদি কোমর ব্যথা সম্পর্কে অতিমাত্রায় নেতিবাচক মনোভাব থাকে অথবা প্রকৃত কোমর ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিটি আর্থসামাজিক বা পারিবারিক কারণে মানসিক চাপে থাকেন তবে তার মনের ব্যথার সঙ্গে কোমর ব্যথার সংমিশ্রণ ঘটতে পারে। তৈরি হতে পারে মনের ভেতর স্থায়ী দাগের, যা তার শরীরকে ব্যথার উপলব্ধি দিতে থাকবে বছরের পর বছর ধরে। এই ধরনের কোমর ব্যথা ফাইব্রোমায়েলজিয়া নামক রোগের সঙ্গে অনেকটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ। 
চিকিৎসা: মনের ব্যথা যখন শরীরে চলে যায় সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন। অবাধ তথ্যপ্রবাহের এই যুগে ইউটিউব, ফেসবুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা রকমের মনগড়া ও ভুল তথ্য। এই সব ভুল তথ্য থেকে ভুল শিক্ষা নেওয়া রোগীকে কোমর ব্যথা সম্পর্কে শিক্ষিত করে তোলাই মূল চ্যালেঞ্জ। প্রথমত, এই ধরনের রোগীকে সঠিক বিষয়টা বোঝাতে হবে। দ্বিতীয়ত টার্গেটেড বা সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা দিতে হবে। সেটি হতে পারে থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ, অ্যাডভাইস বা অন্য চিকিৎসা। 
রোগীকে যা করতে হবে: আজকাল বিজ্ঞাপন ও অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন পোস্ট বা ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া যায়। একটা তথ্য বিশ্বাস করার আগে দেখে নিন কে এই তথ্যটি দিচ্ছেন, তার যোগ্যতা কী। রোগীদের মধ্যে প্রচলিত ধারণা হলো কোমর ব্যথা পিএলআইডি’র কারণে বেশি হয়। এ কথাটি অনেকাংশেই মিথ্যা। গবেষণায় দেখা গেছে, হাজার হাজার সুস্থ মানুষের এমআরআই করে দেখা গেছে তারা পিএলআইডি’তে আক্রান্ত অথচ তাদের কোমর ব্যথা নেই। সেরকম অনেক কোমর ব্যথার রোগী রয়েছে, যাদের এমআরআই স্বাভাবিক। তাই সঠিক তথ্য ও চিকিৎসা পেতে রোগীকেই সবার আগে সচেতন হতে হবে। 
[বিভাগীয় প্রধান, ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাব বিভাগ
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা]
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আরভিনদের আশীর্বাদ মুজারাবানি

ব্লেসিং মানে আশীর্বাদ। জিম্বাবুয়ের জন্য তো আশীর্বাদ হয়েই এসেছেন ব্লেসিং মুজারাবানি। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তো এই তরুণ পেসারই। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এই বোলার উইকেটের সুবিধা পুরোপুরিই নিয়েছেন।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেটে বাউন্স আছে। এই টেস্টে ছিল ঘাসও। এমন উইকেটে মুজারাবানি বাড়তি সহায়তা পাবেন, এমনটাই ধারণা ছিল। সেই ধারণাই সত্যি প্রমাণ করেছেন মুজারাবানি, নিয়েছেন ৯ উইকেট।

দলকে ৪ বছর পরও টেস্ট জয়ের স্বাদ দেওয়ার সঙ্গে নিজে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের মুখে তাই মুজারাবানি নামটাই বেশি এসেছে।

আসাটাই অবশ্য স্বাভাবিক। প্রথম ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন ৩টি। গতকাল দিনের দ্বিতীয় বলেই আউট করেছেন নাজমুল হোসেনকে। সেটিও মাথার চালে। চতুর্থ দিনের প্রথম বলটা ইয়র্কার দিয়ে নাজমুলকে অপ্রস্তুত করে ফেলেন মুজারাবানি। অপ্রস্তুত নাজমুলকে পরের বলটিতে মুজারাবানি দেন বাউন্সার।

সিলেট টেস্টে ৯ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন মুজারাবানি

সম্পর্কিত নিবন্ধ