বন্ধু অস্কার জেতায় বেজায় খুশি আনচেলত্তি
Published: 3rd, March 2025 GMT
ইনস্টাগ্রাম
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউএনওকে প্রত্যাহারে ডিসির কাছে শিক্ষার্থীদের আবেদন
জামালপুরের বকশীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানাকে আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনও’কে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের কাছে আবেদন দেন তারা।
আরো পড়ুন: শেরপুরে ২ ইউএনওসহ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
আরো পড়ুন:
হামাস যোদ্ধাদের বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন শিক্ষিকা
ঝালকাঠিতে খালে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
আবেদনে উল্লেখ করা হয়- “বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার কিছু দৃষ্টতা আমাদের নজরে এসেছে। ইংরেজিতে ইউএনও বকশিগঞ্জ জামালপুর নামে ফেসবুক আইডিতে ইউএনও সাহেব ফেসিস্ট হাসিনার পক্ষে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে প্রচার করে যাচ্ছেন। তিনি প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের দোসর। তিনি যে প্রোফাইল পিকচার (ইউএনও বকশিগঞ্জ জামালপুর ফেসবুক পেইজে) দিয়ে রেখেছেন সেখানে তিনি একটি লাইব্রির সামনে দাঁড়ানো। পেছনে ফেসিস্ট হাসিনার লেখা বইসহ কৌশলে আওয়ামী ভাবধারার বইপত্রের প্রদর্শন করছেন।”
“এতো এতো প্রাণের বিনিময়ে যে ফেসিস্ট হাসিনাকে বিতারিত করা হয়েছে, সেই জালেম হাসিনার প্রচার এভাবে কোনো সরকারি কর্মকর্তা করতে পারেন না। তিনি (ইউএনও) আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকা লোক হিসেবে কাজ করছেন। আমাদের বিশ্বাস, এই কাজে তাকে প্রশাসনের ফ্যাসিস্টপন্থি কর্মকর্তারাও সাহায্য করছে। এতে প্রমাণিত হয়, তার পেছনে বড় ধরনের কোনো শক্তি আছে, যারা বর্তমান ড. ইউনূসের সরকারকে বিব্রত ও বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।”
ইউএনওকে প্রত্যাহারের আবেদন করা নাজমুল ও ফয়সাল নামে শিক্ষার্থী বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা কিভাবে এখনো আওয়ামী লীগের হয়ে, কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রচারণা চালান এটা বোধগম্য নয়। তিনি অত্যন্ত চতুর এবং তার কার্যক্রম সন্দেহজনক। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে শেরপুর আদালতে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। প্রশাসনে অনেক যোগ্য ব্যক্তি রয়েছে। তাহলে কেনো তাকে এই পদে রাখতে হবে? তাকে প্রত্যাহার করা হোক। তা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে বকশীগঞ্জের ইউএনও মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে তিনবার কলা করা হলেও তিনি ফোর রিসিভ করেননি।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, “আমি এখনো আবেদন পত্রটি হাতে পায়নি। হয়তোবা ডাকে বা আমার অফিসে কাউকে দিয়েছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এই বিষয়টি (প্রত্যাহার) আমার হাতে নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবে।”
ঢাকা/শোভন/মাসুদ