আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী বাণিজ্য মেলা শুরু হচ্ছে। গুলশান শুটিং ক্লাবে আয়োজিত এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আজ সোমবার ধানমন্ডিতে উইমেন এন্টাপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ওয়েব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ওয়েব এ মেলার আয়োজন করছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা নারীদের সম্মানে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে এ মেলা ৬ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে। মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি বাহারি হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, নকশা করা কাপড়, নান্দনিক গয়না ও নানা ধরনের সৃজনশীল পণ্য প্রদর্শিত হবে।

ওয়েবের সভাপতি নাসরিন আউয়াল মিন্টু বলেন, এই মেলার মাধ্যমে ওয়েব রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে। গত ২৫ বছরে সংগঠনটি দেশের হাজার হাজার নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এই মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্য ও সম্ভাবনাকে দেশ ও বিশ্বদরবারে তুলে ধরা হবে।

মেলার বিশেষ আকর্ষণ হলো জুলাই কর্নার বলে উল্লেখ করেন নাসরিন আউয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা নারীদের সম্মানে এ কর্নার তৈরি করা হয়েছে। এই কর্নারের মাধ্যমে সেই সব নারীর সাহসিকতা ও অবদানকে তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া মেলা চলাকালে নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের তিন শ শিক্ষার্থীকে নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ওয়েবের সাবেক সভাপতি রেহানা রহমান, সহসভাপতি তাজিমা এইচ মজুমদারসহ ওয়েবের কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চোর আখ্যা দিয়ে মাথা থেঁতলে যুবককে হত্যা 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চোর আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মোহাম্মদ রাহিম ওরফে রইস রাহিম (২৩) নামে এক যুবককে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বারইপাড়ার ইকবালের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাহিম বন্দর উপজেলার বারইপাড়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাবিবুর রহমানের ছেলে। স্থানীয়দের তথ্যমতে, প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। 

নিহতের মা রাশিদা বেগমের অভিযোগ, চোর আখ্যা দিয়ে প্রতিবেশী ইকবাল মিয়ার নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। বিষয়টি ‘ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনির ঘটনা’ বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। 

রাশিদা জানান, রাহিমকে প্রতিবেশী ইকবাল মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত দেড়টার দিকে ছেলের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে ইকবালের বাড়িতে গিয়ে দেখি ছেলের শরীরের কাটা স্থানে মরিচের গুঁড়া ও লবণ লাগানো হচ্ছে। এ অবস্থায় আমার চোখের সামনে ইকবাল, রমজান, আমজাদ, মাসুদ, বাঁধন, সালাউদ্দিন, শিল্পীসহ ১০-১২ জন মিলে ইট দিয়ে রাহিমের মাথা থেঁতলে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রাহিম। 

স্থানীয়রা জানান, রাহিম ইট বালু বহনকারী পিকআপচালক। ইকবালের প্রবাসী বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে রাহিমের অনৈতিক সম্পর্ক আছে- এমন সন্দেহে তাকে হত্যা করেছে ইকবাল ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী হাবিবাকেও মারধর করে তারা। সে বর্তমানে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।

বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই বাড়িতে চুরি বা ডাকাতির ঘটনার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হত্যার কারণ আমরা খতিয়ে দেখছি। ঘটনায় জড়িতরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ