বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
Published: 3rd, March 2025 GMT
বগুড়ার শাজাহানপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। সোমবার বিকেলে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক শাজাহানপুর এলাকায় অবরোধ করলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে রোজাদার ব্যক্তি ও যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে এলাকাবাসী দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে অবরোধ তুলে নেন।
জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে মাঝিড়া বন্দর এলাকায় বেপরোয়া গতির ট্রাকের ধাক্কায় মিরাজুল ইসলাম (২৫) নামের এক রিকশাচালক নিহত হন। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার গয়নাকুড়ি গ্রামের হাজেল মিয়ার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাক আটক করা হয়। তবে চালক ও হেলপার কৌশলে পালিয়ে যান।
একইদিনে মাঝিড়া বন্দর এলাকায় বেলা তিনটার দিকে সড়ক পারাপারের সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হন। এসময় একই স্থানে বারবার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এলাকাবাসীর দাবি, মাঝিড়া বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি এলাকার সড়কে ওভারপাস বা আন্ডারপাস নির্মাণ করতে হবে। তারা মৌখিক নয়, লিখিত আশ্বাস চান। বিক্ষোভ শুরু হলে বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। তবে বিক্ষোভকারীরা কোনো কথা না শুনে তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যান। তাদের এই বিক্ষোভের কারণে বনানী থেকে শেরপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। রোজাদার যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন এবং রাস্তার মাঝখানেই তারা ইফতার করেন। পরে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত প্রশাসক (সার্বিক) মেজবাউল ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার গাড়ি দেখে লাঠি নিয়ে এগিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদেও দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেজবাউল করিম বলেন, মাঝিড়া বন্দরে ওভারপাস নির্মাণের দাবি মেনে নেওয়ার পর অবরোধকারীরা শান্ত হন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন সড়ক অবর ধ এল ক ব স র ঘটন য় অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় সড়কে গাছ ফেলে ৪০ গাড়িতে ডাকাতি
পাবনার সাঁথিয়ায় মধ্যরাতে সড়কে গাছ ফেলে বাস-ট্রাকসহ অন্তত ৪০টি গাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে পাবনা-সাঁথিয়া সড়কের ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে ঘটে এ ঘটনা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান।
এ বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাতরা। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি আটকে পড়ে। এসময় ৪০ থেকে ৫০ জন হাসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে ডাকাতি চালায়। গাড়ির গেট খুলতে দেরি করায় কিছু গাড়ি ভাঙচুরও করে। এসময় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ তাণ্ডব।
ডাকাতির কবলে পড়া আব্দুস সালাম নামে এক ইসলামী বক্তা ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যে বলেন, কিছুক্ষণ আগে এই সড়কে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করেছে। হুট করে আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। বারবার গাড়িতে আঘাতের পর আমরা ড্রাইভারকে গেট খুলে দিতে বললে ডাকাতরা ঢুকে ড্রাইভারের গলা ও পেটে চাকু ধরে। একইভাবে অন্যদেরও জিম্মি করে সব লুটে নিয়ে যায়। আমরা বলেছি, ভাই যা আছে সব নেন, কিন্তু কাউকে আঘাত কইরেন না। আমাদের গাড়িতে কাউকে আঘাত করেনি। অনুরোধ করায় আমার দুটি মোবাইল ফেরত দিয়ে যায়।
তিনি বলেন, একটি মাইক্রোতে করে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী। ওই গাড়িতে আক্রমণ করে কয়েকজনকে মারধর করে সব লুটে নিয়ে গেছে। একইভাবে সব গাড়িতে পর্যায়ক্রমে ডাকাতি চালায়। গাড়ি ভাঙচুর ও অনেককেই মারধর করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো বিস্তারিত জানি না। তবে ওই রাস্তাটি খুব বেশি ব্যস্ত না হলেও বেড়া-বাঘাবাড়ি হয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেশকিছু গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যায়। এটি ডাকাতরা জেনেই গাছ ফেলে ডাকাতি করেছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলতে না পারলেও কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনজে