আল্লাহর ৯৯টি নামের মধ্যে একটি নাম হলো ‘ইয়া জালালি ওয়াল ইকরাম’। এটি ইসমে আজম বা বড় নাম। জালাল শব্দের অর্থ মর্যাদাবান এবং ইকরাম অর্থ সম্মানিত। আল্লাহ বড় বা শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে যেসব নামে ডাকা হয়, সেগুলোকে বলে ইসমে আজম। আল্লাহর এই নামটি কোরআনে এসেছে দুবার। সুরা আর রহমানের ২৭ নম্বর ও ৭৮ নম্বর আয়াতে।

ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরামের অর্থ সমস্ত সৃষ্টি জগতের মালিক, যিনি সৃষ্টিকুল হতে ভয় পাওয়ার হকদার ও একমাত্র প্রশংসার যোগ্য, মহৎ, বড়, দয়া ও ইহসানের অধিকারী।

এর ফজিলত

জাল জালালি ওয়াল ইকরাম মহান আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর একটি। আল্লাহকে ডাকার সময় এই নামের আগে যখন ইয়া যুক্ত করে বলতে হবে ‘জাল জালালি ওয়াল ইকরাম’।

নবীজি (সা.

) এক হাদিসে বলেছেন, ‘তোমরা সব সময় ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম পড়াকে অপরিহার্য করে নাও (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫২৫)। অর্থাৎ সব সময় এই নাম পড়ার প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনএক কাঠমিস্ত্রির ঘটনা২৮ মার্চ ২০২৪

নবীজি (সা.) নামাজ আদায়ের পরে বসা অবস্থায় বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, আপনি সালাম (শান্তি নিরাপত্তা প্রদানকারী, আপনার পক্ষ থেকেই সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা) আসে। আপনি বরকতময়, হে মহিমময় মহানুভব। (মুসলিম, হাদিস: ৫৯১-৫৯২)

একবার হজরত আনাস (রা.) নবীজি (সা.) এর সঙ্গে বসা ছিলেন। তখন ওইখানে এক লোক এসে নামাজ পড়ে এই দোয়া করল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।’

রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি আল্লাহর দরবারে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করেছ, যে নামে ডাকলে মহান আল্লাহ সাড়া দেন এবং কিছু চাইলে তা দান করেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩,৫৪৪, আবু দাউদ ১,৪৯৫, নাসাঈ, ১৩০)।

আল্লাহ বান্দাদের সব সময় তাঁর জিকির করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে পরিমাণে স্মরণ করো এবং সকাল সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো। (সুরা আহজাব, আয়াত: ৪১-৪২)

আরও পড়ুনএক বাগান মালিকের পরিণতি২৯ মার্চ ২০২৪

কোরআনে আছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা যখন কোনো দলের মোকাবিলা করবে, তখন অবিচলিত থাকবে আল্লাহকে বেশি করে মনে করবে যাতে তোমরা সফল হও।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ৪৫)

আল্লাহর গুণবাচক নামের জিকির করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে কোরআন ও হাদিসে। কোরআনে আছে, ‘ আর সুন্দর নামগুলো আল্লাহরই। তোমরা তাঁকে সেই সব নামে ডাকবে, যারা তাঁর নাম বিকৃত করে, তাদেরকে বর্জন করবে তাদের কৃতকর্মের ফল তাদেরকে দেওয়া হবে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ১৮০)

ইমাম আবু জাফর তাবারি (র.) বলেন, আল্লাহর প্রতিটি গুণবাচক নামই ইসমে আজমের অন্তর্ভুক্ত। যদি কোন লোক এটি নিয়মিত পড়ে তবে আল্লাহ এর দুনিয়া ও পরকালের সব কাজ সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে দেবেন।

আরও পড়ুনশয়তানের ধোঁকা৩০ মার্চ ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইকর ম আল ল হ ক রআন

এছাড়াও পড়ুন:

ইফতারের দোয়া

রোজা রাখার পুরস্কার অনেক। রোজা রাখার কারণে বিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে অজস্র পুরস্কার।

নবীজি (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি খুশি-একটি ইফতারের সময়, অপরটি তার রবের সাক্ষাৎ লাভের সময়।’ (বুখারি, ১৯০৪)

ইফতারের আগে দোয়া: ইফতারের আগে রোজাদারের দোয়া কবুল হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫২)

ইফতারের দোয়া বাংলা

হে আল্লাহ! আমি আপনার উদ্দেশে রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করছি । আপনি আমার রোজা কবুল করুন।

রোজার নিয়ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ