বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর যে সহজ হবে না বাংলাদেশের মেয়েদের, তা অনুমেয়ই ছিল। প্রথম ম্যাচের মতো রোববার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও আমিরাতের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে আফেইদা খন্দকার-শাহেদা আক্তার রিপারা। দুই ম্যাচে হারলেও ম্যাচের ফলের দিকে তাকাতে চান না বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার।
বরং তরুণ এই দল নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন ব্রিটিশ এ কোচ, ‘এই সফর নিয়ে যদি বলি, এই সপ্তাহ নিয়ে আমি খুবই গর্বিত। ফুটবলের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন আছি। জিততে হবে, জিততে হবে– আমি এই মানসিকতার নই। আমার ভাবনায় উন্নতি। এই সপ্তাহে আমরা সেটা পেয়েছি, সেই মানসিকতা দেখেছি (মেয়েদের মধ্যে)। যখন আমরা এই মানসিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব– আসুন ধৈর্য ধরি, উন্নতি করি, নতুন ভবিষ্যৎ সাজাই; তখন বাংলাদেশের (নারী) ফুটবল এই মেয়েদের হাত ধরে বেড়ে উঠবে।’
আমিরাত সফর শেষ করে ঢাকায় ফেরা মেয়েরা গতকাল বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে দেখা করেছেন। আপাতত ঈদ পর্যন্ত বন্ধ বাফুফে ক্যাম্প।
গত বছরের অক্টোবরে নেপালে সাফের শিরোপা জেতা দলের বড় সব তারকা ছিলেন না আমিরাত সফরে। দুই ম্যাচে ৬ গোল হজম করা বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে মাত্র দু’বার। আক্রমণভাগে সাবিনা খাতুন-তহুরা খাতুনদের শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেননি রিপা, আইরিন খাতুন, সুরভী আকন্দ প্রীতিরা। এদের কেউই জালের দেখা পাননি। দুই ম্যাচে দুটি গোল করেছেন আফেইদা।
ফরোয়ার্ডরা জ্বলে উঠতে না পারলেও এই নতুনদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখছেন বাটলার, ‘আজকের (রোববার) ম্যাচে আমি অনেক পরিবর্তন করেছি। মেয়েদের খেলার সুযোগ দিয়েছি এবং এই তরুণীরা ভীষণ ইতিবাচক এবং দারুণ ফুটবল খেলেছে। তারা দারুণ মানসিকতা দেখিয়েছে। দেখুন, আমরা সেই দলের সঙ্গে (এখনই) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব না, যাদের ২৩ জনের মধ্যে ১০-১২ জনই বিদেশি খেলোয়াড়, আমরা তাদের সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে লড়তে পারব না, আমরা তাদের সঙ্গে লড়তে পারি উদ্দীপনা ও সাহস দিয়ে। সেখানে এই মেয়েদের নিয়ে আমি গর্বিত।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘কুয়েটসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছি, অস্থিরতা দ্রুতই কেটে যাবে’
কুয়েটসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন দ্রুতই সব অস্থিরতা কেটে যাবে। তিনি বলেন, কুয়েটের সমস্যাসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এটির রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। আমরা কোনো বিশেষ ব্যক্তি নিয়ে কথা বলবো না, পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়টি তদন্ত কমিটি সবার সাথে কথা বলছে। আশাকরি কয়েক দিনের মধ্যে সমাধান হবে।
আজ বুধবার বিকেলে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান বিশৃঙ্খলা ও দাবি-দাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. আবরার বলেন, বিগত সময়ে ছাত্ররা যখনই কোনো দাবি উপস্থাপন করত, রাষ্ট্র তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। এখন যেহেতু আগের পরিস্থিতি নেই, তাই সবাই একসাথে তাড়াহুড়ো করে দাবি-দাওয়া তুলতে গিয়ে এমন পরিস্থিতি হচ্ছে। দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ার পর দাবি উত্থাপনের সুযোগ এসেছে। ফলে বর্তমান সরকার এসব ক্ষেত্রে নমনীয় রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ছাত্রদেরকে আশ্বস্ত করছি তাদের দাবিগুলো সংবেদনশীলতার সাথে দেখে নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে উপযুক্ত সমাধানের চেষ্টা করবে সরকার।
সাহিত্য পরিষদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে ‘আগামীর শিক্ষা: প্রেক্ষিত বর্তমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন, স্কুলশিক্ষক রেজাউল মৃধা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও উন্নয়ন সংস্থার আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম স্টালিন, নন্দিতা সুরক্ষার প্রকল্প পরিচালক তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আবরাব নাদিম ইতু প্রমুখ।