জামালপুরে বাস সার্ভিস সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে একই স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বাস-সিএনজি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

সোমবার দুপুর ১২টা থেকে টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড মোড়ে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ পালন করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি অবরোধে তিন ঘণ্টার বেশি সময় অবরোধ থাকায় সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আবিদ সৌরভ বলেন, জামালপুরে রাজিব বাসের কারণে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে। তাই রাজিব বাস বন্ধের দাবি জানাতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। এছাড়াও পুরো জেলায় বাস সার্ভিস সংস্কারের জন্য এই আন্দোলন। কিন্তু এসময় বাস শ্রমিকরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি সব বাস চললেও রাজিব বাস চলতে দেওয়া হবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে আরও বড় আন্দোলনে যেতে পারি।

জামালপুর জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুভ বলেন, আলোচনার জন্য ডাকা হলে উল্টো মারমুখী অবস্থানে যায় ছাত্ররা। এতে আহত হয় এক শ্রমিক। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে সারা জেলার সব বাস-মিনিবাস ও সিএনজি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জামালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ফয়সল মো.

আতিক বলেন, বিকেল ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক র জন য অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ