একুশে পদকজয়ী নিয়াজ জামানকে আইইউবির সংবর্ধনা
Published: 3rd, March 2025 GMT
শিক্ষা ও সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য একুশে পদক-২০২৫ জয়ী শিক্ষাবিদ, লেখক ও অনুবাদক অধ্যাপক নিয়াজ জামানকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। গত বুধবার সন্ধ্যায় আইইউবি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আইইউবির ট্রাস্টি, উপাচার্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা ছাড়াও শিক্ষা ও সাহিত্যানুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অধ্যাপক নিয়াজ জামানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেন আইইউবির ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেস বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা। অধ্যাপক নিয়াজ জামানের লেখা একটি ছোটগল্প থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনান তিনি।
এরপর নিয়াজ জামানের কর্মজীবন, একুশে পদক প্রাপ্তি, আইইউবির অগ্রগতিতে তাঁর অবদানসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জাভেদ হোসেন, উপাচার্য অধ্যাপক ম.
অধ্যাপক নিয়াজ জামান তাঁর বক্তব্যে আইইউবিতে তাঁর শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ।
আইইউবির ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেস বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক নিয়াজ জামান। তিনি ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর এবং জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর শিক্ষকতা জীবন শুরু হয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও হলি ক্রস কলেজে। এরপর তিনি কাজ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭২ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে, যেখানে তিনি কাজ করেছেন ২০১৩ সালে অবসর নেওয়ার আগপর্যন্ত। ২০০৬ সাল থেকে তিনি আইইউবির ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখিতেও অধ্যাপক নিয়াজ জামান রেখেছেন সমান দক্ষতার ছাপ। লিখেছেন তিনটি উপন্যাস, তিনটি ছোটগল্পের বই এবং সাতটি শিশুতোষ গ্রন্থ। বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প নিয়েও তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে। ‘দ্য আর্ট অব কাঁথা এমব্রয়ডারি’ এবং ‘টেক্সটাইলস ফ্রম বেঙ্গল: আ শেয়ার্ড লেগাসি’ গ্রন্থে উঠে এসেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্পের গল্প। অনুবাদেও নিয়াজ জামানের রয়েছে সমান দক্ষতা।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে নিয়াজ জামান পেয়েছেন বাংলা একাডেমি অনুবাদ পুরস্কার (২০১৬), অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (২০১৩), আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড (২০১৭) সহ নানা সম্মাননা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইইউব র
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার রসায়ন, যা বললেন মধু চোপড়া
২০০০ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ খেতাব জিতেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার দুই বছর পর তামিল সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ২০০৩ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে। অনেক সংগ্রামের পর বলিউডে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন এই নায়িকা।
২০০২ সালে তামিল ভাষার ‘থামিজান’ সিনেমা মুক্তি পায়। অভিষেক চলচ্চিত্রে প্রিয়াঙ্কা তার সহশিল্পী হিসেবে পান থালাপাতি বিজয়কে। এরপর পর্দায় আর একসঙ্গে দেখা যায়নি এই জুটিকে। তবে প্রিয়াঙ্কা এখনো বিজয়কে ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। লেহরেন রেট্রো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়া।
বিজয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে মধু চোপড়া বলেন, “আসলে, এই প্রকল্পকে ‘না’ করেছিল প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু তারা কোনোভাবে তার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়; তারপর তার বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘গ্রীষ্মের দুই মাসের ছুটিতে তাকে (প্রিয়াঙ্কা) শুটিং করার সুযোগ দিন।’ অনেক বোঝানোর পর তার বাবা কথা দেন। যার ফলে সে (প্রিয়াঙ্কা) কাজটি করে।”
বড় এই প্রজেক্টে বিজয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার অভিষেক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করেছেন মধু চোপড়া। পাশাপাশি বিজয়কে শ্রদ্ধা করার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “প্রিয়াঙ্কা সত্যিই বিজয়কে অনেক সম্মান করে। কারণ সে খুব সহনশীল। প্রভু দেবার ভাই রাজু সুন্দরম ছিলেন কোরিওগ্রাফার এবং প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল কঠিন। বিজয় পেশাদার নৃত্যশিল্পী এবং এটি ধরে রাখা কঠিন ছিল। নতুন ভাষা শেখা, সংলাপ বলা এবং নাচ করা কঠিন ছিল।”
প্রিয়াঙ্কা তার কাজ সঠিকভাবে না করার কারণে তাকে তিরস্কার করতেন মা মধু চোপড়া। তার ভাষায়, “আমরা তাকে বলেছিলাম কোনো রিলস নষ্ট করা যাবে না। রুমে ফিরে সন্ধ্যায় তাকে অনুশীলন করানো হয়। এরপর সে তার কাজ সঠিকভাবে করতে থাকে। তারপর মানুষও তার প্রশংসা করতে থাকেন। সময়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাও অভিনয় উপভোগ করতে থাকে।”
সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে রুপালি জগতে পা রাখার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরুতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। সেই যাত্রা পথে বিজয়ের সমর্থন প্রিয়াঙ্কাকে অনেক সাহার্য করেছে। পরবর্তীতে মেধা-শ্রম দিয়ে নিজের অবস্থান গড়ে নেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত