অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হলো বাধ্যতামূলক ছুটিতে
Published: 3rd, March 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারকে তাঁর আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত চলাকালে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া অবধি বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন তিনি। এরই মধ্যে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে। আজ সোমবার দুপুরে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো.
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৩ মার্চ থেকে মজিবুর রহমান মজুমদারকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদানের আদেশ জারি করা হলো। সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যানবাহন–সংক্রান্ত, টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও সংবাদপত্র–সংক্রান্ত কোনো সুযোগ–সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।
সোমবার বিকেলে এ বিষয়ে মজিবুর রহমান মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ এই আদেশ দেখে আমি অবাক হয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত আমি জানি না। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আমি সহযোগিতা করব, যাতে সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করতে পারে। আমার বিবেকের জায়গা থেকে প্রশাসনিক হোক, আর্থিক হোক, এমন কোনো দুর্নীতি করিনি। নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি অনুভব করেছি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পথ ভালো হবে না। অবশেষে সেটাই সত্যি হলো।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রার পদে মো. মজিবুর রহমান মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়েছেন। এসব বিষয়ে তাঁকে বারবার সতর্ক করা হলেও তিনি অনিয়ম থেকে বের হতে পারেননি। যার কারণে অবশেষে তাঁকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদানের আদেশ জারি করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ওপর যে আস্থা রাখা হয়েছে, আমি চেষ্টা করব সেটি রক্ষা করতে। আমার কাজ হবে ছাত্র-শিক্ষক এবং প্রশাসনের সবার সঙ্গে সেতুবন্ধ তৈরি করা। এই পদের এমন কোনো ক্ষমতা নেই যে আমি অনেক কিছু করে ফেলব। শুধু অর্ডারগুলো ক্যারি করা এবং আমি চেষ্টা করব যেন আইনানুযায়ী সবার সঙ্গে ভালোভাবে চলতে পারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে পারি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’