দেশের বাজারে ডিপাল ব্র্যান্ডের দুটি মডেলের বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) উন্মোচন করেছে বাংলাদেশে চাঙ্গান অটোমোবাইলসের পরিবেশক ডিএইচএস অটোস লিমিটেড। আজ সোমবার রাজধানীর পূর্বাচলের শালবন স্পোর্টস গ্রাউন্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘ডিপাল এস০৭’ ও ‘ডিপাল এল০৭’ মডেলের গাড়ি দুটি বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ডিএইচএস অটোসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান জামান খান, মহাব্যবস্থাপক আরমান রশিদ, বিক্রয়প্রধান ফারহান সামাদ ও বাংলাদেশের প্রথম নারী এফআইএ সনদপ্রাপ্ত রেসিং ড্রাইভার কাশফিয়া আরফা উপস্থিত ছিলেন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএইচএস অটোস লিমিটেড।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংযোজিত ‘ডিপাল এস০৭’ ও ‘ডিপাল এল০৭’ মডেলের গাড়ি দুটিতে রয়েছে স্মার্ট ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, স্মার্ট কেবিন কন্ট্রোল, আরামদায়ক আসনব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত স্থান। ঢাকার গুলশানের বীর উত্তম মীর শওকত সড়কে অবস্থিত ডিএইচএস অটোসের শোরুমে পাওয়া যাবে গাড়িগুলো।

ইমরান জামান খান বলেন, ডিপাল এস০৭ মাঝারি আকারের সেডান গাড়ি। শক্তিশালী মোটরযুক্ত বিলাসবহুল এই গাড়ির বাহ্যিক নকশাও আকর্ষণীয়। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সহজলভ্য সার্ভিসিংসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশে আট বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাও দেবে ডিএইচএস অটোস।

আরমান রশিদ বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে ডিএইচএস অটোস লিমিটেড বাংলাদেশের ইভি বাজারে অগ্রণী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ভবিষ্যতে ডিপালের আরও আকর্ষণীয় মডেল বাংলাদেশে উন্মোচন করা হবে। বাংলাদেশের চার্জিং অবকাঠামোর উন্নয়নেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ডিএইচএস অটোস লিমিটেড।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসন থানার মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় এ দুর্ঘঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। 

দগ্ধরা হলেন, পারভীন আক্তার (৩৫ বছর), তাসলিমা (৩০) বয়সী, সীমা (৩০), তানজিলা (১০) ও দেড় বছরের আইয়ান। 

আরো পড়ুন:

ছেলের পর নাতীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় রাবেয়া বেগম

নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু

তাদের আত্মীয় মফিজুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে  রান্না করার জন্য চুলা জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। 

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান জানান, গাজীপুরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ জনকে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগুনে সীমার শরীরের ৯০ শতাংশ, পারভীনের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা। 

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ