ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক নাজমা বেগম ট্রাস্ট ফান্ড ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান সতীর্থ ফোরাম ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে ১২ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান তার অফিস সংলগ্ন সভাকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে এ বৃত্তির চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অর্থনীতি বিভাগে বিভিন্ন বর্ষের অধ্যয়নরত ছয়জন শিক্ষার্থীকে অধ্যাপক নাজমা বেগম ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ছয়জন শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সতীর্থ ফোরাম ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কোটা চালু করা হয়েছে: বিন ইয়ামিন

আ.

লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅবস্থানের ১৮ দিন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মাসুদা ইয়াসমীন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. নাছিমা খাতুন, অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. ফেরদৌস হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সতীর্থ ফোরামের অন্যতম দাতা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

ট্রাস্ট ফান্ডের দাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি গভীর মমতা ধারণ করেন বলেই ট্রাস্ট ফান্ডগুলো গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ উদ্যোগগুলো আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সমাজকে নিয়ে চলতে শেখায়। এ আয়োজনগুলো করতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করি।”

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্ট ফান্ডগুলো গোছানোর চেষ্টা করছি। আকার ও পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যাতে আরো বহু সংখ্যাক শিক্ষার্থীকে এসব ফান্ডের আওতায় আনা যায়। আমরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকেও সক্রিয় করার চেষ্টা করছি।”

বৃত্তিপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্য করে উপাচার্য বলেন, “এ বয়সে ফাঁদ ও প্রলোভন বেশি। এর থেকে বাঁচতে হলে তোমাদেরকে পরিশ্রম ও নৈতিক শক্তির ওপর বেশি নির্ভর করতে হবে।” কাজের মাধ্যমে ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তির প্রতিদান দিতে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. নাজমা বেগম ৬ লাখ টাকা প্রদানের মাধ্যমে ‘অধ্যাপক নাজমা বেগম ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেন। ট্রাস্ট ফান্ডটির বর্তমান মূলধন ১৫ লাখ টাকা। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ে বিএসএস (সম্মান) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রথম বর্ষের দুইজন, দ্বিতীয় বর্ষের একজন, তৃতীয় বর্ষের একজন, চতুর্থ বর্ষের একজন ও এমএসএস শ্রেণির একজনসহ মোট ছয়জন মেধাবী ও অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীকে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশক্রমে এককালীন ১৫ হাজার ৮২১ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অপরদিকে, ১৯৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ১৭ লাখ টাকা প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সতীর্থ ফোরাম ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেন। ট্রাস্ট ফান্ডটির বর্তমান মূলধন ১৮ লাখ টাকা। প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত ছয়জন মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশক্রমে এককালীন ১২ হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রব জ ঞ ন ব ভ গ বর ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

জমি হারানোর ভয় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে অর্জিত অর্থ ও পেনশনের টাকা দিয়ে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং দ্বিতীয় পর্ব এলাকায় ১৬ শতাংশ জমি কিনেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন। কষ্টার্জিত টাকায় কেনা এই জমির ওপর স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীর কুদৃষ্টি পড়েছে। জমি ছেড়ে দিতে প্রতিনিয়ত তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পল্লবীর বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন। 

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি দাবি করেন, ২০১৮ সাল নুরজাহান বেগম নামের একজনের কাছ থেকে ৬৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ওই জমি কিনেছিলেন তিনি। এক বছর পর জমির নামজারি কর ও খাজনা পরিশোধও করেন। কিন্তু ২০২৩ সাল মিরপুর এলাকার ভূমিদস্যু ও বিভিন্ন মামলার আসামি বায়জিদ, আশরাফ উদ্দিন, তাজউদ্দিন ও মারুফসহ কয়েকজন জমিটিকে নিজেদের দাবি করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। জমি ছেড়ে দিতে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকিও দেয়।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় ২০২৩ সালেই তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে এসি-ল্যান্ডের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত জমিতে বায়জিদদের প্রবেশ রহিত করেন। কিন্তু তারা আদালতের রায় না মেনে জমিতে প্রবেশ ও দখলের চেষ্টা করলে আবারও আদালতে ভূমি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে মামলা করেন। অন্যদিকে বায়জিদ ও আশরাফরা তাকে হয়রানি করতে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে তার নামজারির বিরুদ্ধে এসি-ল্যান্ডের কাছে রিভিউ মামলা করেন। 

জাহাঙ্গীর আরও জানান, উভয়পক্ষের মামলা চলমান থাকলেও উল্লেখিত ভূমিদস্যুরা বর্তমানে তাকে বিভিন্নভাবে আমাকে হত্যা ও মামলার ভয় দেখাচ্ছেন। এমতাবস্থায় তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন এবং এ বিষয়ে সরকারের কাছে প্রতিকার চাইছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেনের বন্ধু সালাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, মনির হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জমি হারানোর ভয় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার
  • মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হোসনে আরা বেগম, মহাসচিব ফারজানা ইয়াসমিন
  • শপথ নিলেন পিএসসির নতুন ৭ সদস্য
  • শপথ নিলেন পিএসসির নতুন ৭ সদস্য  
  • মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হোসনে আরা, মহাসচিব ফারজানা
  • সপ্তম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট সমাপ্ত
  • পিএসসির নতুন সদস্যদের শপথ কাল
  • অনুবাদকেরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন: আলী আহমদ 
  • কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক রাষ্ট্রপতির শ্যালক