বিশ্বের অন্যতম রক্তদাতা জেমস হ্যারিসন মারা গেছেন। তাঁর প্লাজমা ২৪ লাখের বেশি শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে।  

আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি নার্সিং হোমে ঘুমন্ত অবস্থায় জেমস হ্যারিসন মারা গেছেন বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাঁর বয়স ছিল ৮৮ বছর।

অস্ট্রেলিয়ায় সোনালি বাহু মানুষ হিসেবে পরিচিত হ্যারিসনের রক্তে একটি বিরল অ্যান্টিবডি অ্যান্টি-ডি ছিল, যা গর্ভবতী মায়েদের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।  

অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস হ্যারিসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, ১৪ বছর বয়সে বুকে একটি বড় অস্ত্রোপচারের সময় তিনি দাতা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ওই সময় অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁর রক্ত লেগেছিল।

হ্যারিসন ১৮ বছর বয়সে তাঁর রক্তের প্লাজমা দান শুরু করেছিলেন এবং ৮১ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি দুই সপ্তাহে তিনি প্লাজমা দিয়েছেন।

২০০৫ সালে সর্বাধিক রক্তের প্লাজমা দান করার বিশ্ব রেকর্ড ছিল হ্যারিসনের। ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি এ খেতাব ধরে রেখেছিলেন।

হ্যারিসনের মেয়ে ট্রেসি মেলোশিপ বলেন, তাঁর বাবা কোনো খরচ বা কষ্ট ছাড়াই এত জীবন বাঁচাতে পেরে খুব গর্বিত ছিলেন। তিনি সব সময় বলতেন, রক্তদানে কোনো ক্ষতি হয় না এবং আপনি যে জীবন বাঁচান, তা আপনার নিজেরও হতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ বন ব

এছাড়াও পড়ুন:

বিফলে বিজয়ের সেঞ্চুরি, মোহামেডানকে জেতালেন ‘বিতর্কিত’ হৃদয় 

সেই পুরনো বৃত্তে ডিপিএল আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। অথচ অজানা কারণে কমিয়ে দেওয়া হয় তার নিষেধাজ্ঞা। কীভাবে নিষেধাজ্ঞা কমল তা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। 

‘বিতর্কিত’ ওই হৃদয় এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ডিপিএলের সুপার লিগে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। দিনের অন্য ম্যাচে গাজী গ্রুপের এনামুল হক বিজয় সেঞ্চুরি করলেও ১০ রানের জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। 

বুধবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৪৭.৪ ওভারে ২২৪ রান করে অলআউট হয়ে যায় গুলশান। দলটির লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার শাকিল হোসেন ৫৭ রান করেন। জবাবে মোহামেডান ৪৬.৪ ওভারে জয় তুলে নেয়। চারে নেমে হৃদয় ৮৫ বলে ৬২ রান করেন। রিয়াদ ১০৩ বলে ৭১ রান করে আউট হন। আরিফুল ২৫ রান করে ম্যাচ জেতান।

শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী ১৬ বল থাকতে ২৪৯ রান করে অলআউট হয়। দলটির ওপেনার শাহরিয়ার কমল ১০০ বল খেলে ৯৫ রান করেন। পারভেজ ইমন ও মিডলে মেহরব হোসেন ৪৫ করে রান যোগ করেন। জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ৫১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি খেলেন ১১৩ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। 

দলের অন্যরা ব্যর্থ হওয়ায় হেরেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। গাজী গ্রুপের হয়ে ওয়াসি সিদ্দিকী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। শামসুর রহমান ২৭ রান যোগ করেন। তাদের ধসিয়ে দিতে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৩টি এবং রিপন মন্ডল ও মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ