পঞ্চগড়ে গ্রেপ্তার ৫ জন টাঙ্গাইলে শিক্ষাসফরের বাসে ডাকাতির সঙ্গে জ
Published: 3rd, March 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা টাঙ্গাইলে শিক্ষাসফরের বাসে ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী।
তিনি বলেন, “গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় স্কুল বাসে ডাকাতির পর সারা দেশে পুলিশ ডাকাতদের ধরতে অভিযান শুরু করে। এরই সূত্র ধরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের একটি দল ডাকাতদের অবস্থান নিশ্চিত করতে রংপুরে আসেন। একপর্যায়ে ডাকাতদের অবস্থান পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরে দেখা যায়। পরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ পঞ্চগড় জেলা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।”
পুলিশ সুপার বলেন, “টাঙ্গাইল পুলিশের দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে জেলা পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। এরই মাঝে খবর পাওয়া যায় তেঁতুলিয়ার অজিজনগর এলাকায় বেলায়েত মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে। পরে তেঁতুলিয়ায় একদিকে গ্রামগুলোতে তল্লাশি অন্যদিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। পরে রবিবার সকালে তেঁতুলিয়া থেকে ভজনপুর দিয়ে বাসযোগে ডাকাতরা পালানোর সময় ভজনপুর চেক পোস্টে বাস থামিয়ে তল্লাশি করলে ৫ জন ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকাসহ সোনা ও রুপার স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।”
স্থানীয় কেউ জড়িত আছে কিনা বা ডাকাত দলের আরো কোনো সদস্য পঞ্চগড়ে লুকিয়ে আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, “এই চক্রের সাথে আরো কয়েকজন ছিল। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।”
গ্রেপ্তার হওয়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্য হলেন-রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার সঠিবাড়ি হরিপুর এলাকার আব্দুল আজিজের পুত্র আনোয়ার হোসেন, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেপুর ইউনিয়নের মকিমপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র শরিফুল ইসলাম, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার লালদিঘী ফতেপুর ফকিরপাড়া ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের বাদশা ফকিরের পুত্র হাসানুর, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সানেরহাট পালানো শাহপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র আয়নাল, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আজিমপুর মির্জাপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র মো.
এর আগে, গত রবিবার এই ৫ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনের নামে তেঁতুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর এলাকার ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তেঁতুলিয়া থানার এসআই বদিউজ্জামান মামলা জানান, আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য তেঁতুলিয়া আমলি আদালত-৪ এ নিয়ে আসা হয়েছে। জবানবন্দিতে স্বীকার না করলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
পঞ্চগড়/নাঈম/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে ডাকাতির পর যৌথবাহিনীর অভিযান, আটক ৫
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ডাকাতি করে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের তৎপরতায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য।
রোববার (২ মার্চ) ভোরে তেঁতুলিয়ার ভজনপুর বাজারে তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়ক এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। এর আগের দিন দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের আজিজনগর গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- রংপুরের মিঠাপুকুর থানার হরিপুর গ্রামের প্রয়াত আ. আজিজের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪১), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার মির্জাপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তহিদুল ইসলাম (৪০), রংপুরের পীরগঞ্জ থানার লালদিঘী ফতেপুর মকিমপুর গ্রামের আ. জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), ফকির পাড়া গ্রামের বাদশা ফকিরের ছেলে হাসানুর (৪০), সানের হাট পালানো শাহপুর গ্রামের আ. জব্বারের ছেলে আয়নাল (৩৮) ও সাহারুল ইসলাম (৩৮)।
জানা গেছে, শনিবার দিনগত রাত ১টা ৫ মিনিটে তেঁতুলিয়ার ৩ নম্বর সদর ইউনিয়নের আজিজনগর গ্রামের বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড় জাতীয় মহাসড়কের ১০০ গজ দক্ষিণে স্কুলশিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে প্রাচীর টপকে ডাকাত প্রবেশ করে। ডাকাতদলের সদস্যরা ঘরের দরজার ছিটকিনি ভেঙে রুমে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে। পরে তাদের হাত-পা বেঁধে মেঝেতে ফেলে রাখে। একপর্যায়ে আলমারির তালা খুলে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। রোববার ভোরে ভজনপুর বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস. এম. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পরেই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে অভিযান পরিচালনা করে ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়। এছাড়াও সন্দেহজনক আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।