নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাব: মাওলানা মামুনুল হক
Published: 3rd, March 2025 GMT
আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সম্ভব সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আগামী নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে ইসলামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায়। এ লক্ষ্যে আমরা সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব ইনশা আল্লাহ।’
আজ সোমবার ভোরে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর মিসফালা এলাকার আল হিব্বা হোটেল মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মক্কা শাখার সাহ্রি মাহফিলে মামুনুল হক এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সমন্বয়ক হাসান জুনাইদ মক্কায় মামুনুল হকের সাহ্রি মাহফিলে দেওয়া বক্তব্য গণমাধ্যমে পাঠান।
বক্তব্যে ঐতিহাসিক তিনটি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪–এর চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে। এ চেতনাই হচ্ছে আগামী বাংলাদেশের রাজনৈতিক নতুন বন্দোবস্ত। স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে আগামীর বাংলাদেশকে নতুন করে গঠন করার।’
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-তরুণদের দলের প্রতি ইঙ্গিত করে খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘দেশের ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাদের এগিয়ে দিতে হবে। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের তাদের তত্ত্বাবধান করতে হবে। তবে তরুণদেরও স্মরণ রাখতে হবে, কোনোক্রমে রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না।’ তিনি বলেন, দলগত বিভেদ-মতপার্থক্য থাকতে পারে, তা কখনো যেন পতিত স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথ তৈরি না করে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মক্কা শাখার সভাপতি হাবিবুল্লাহ হারুণের সভাপতিত্বে সাহ্রি মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বোরহান উদ্দিন কাসেমী, সহসমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, মক্কা মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জামায়াতে ইসলামীর মক্কা মহানগর সভাপতি আহমেদ আবদুল বাকি প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক র জন ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা তীরের বালু বিক্রি ভাঙনের শঙ্কা
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীর তীরের বালু তুলে অবাধে বিক্রি করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে নদীতে পানি বাড়লে ওই সব এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসীর শঙ্কা।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কাউকে তোয়াক্কা না করে নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে দিন-রাত এ বালু বিক্রি করছেন। এভাবে বালু বিক্রি করায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েকজন জানান, উপজেলার যমুনা তীরের রৌহা ও বাগুলি এলাকায় বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বালু বিক্রি করছেন লেবু শেখসহ ছয়-সাতজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করলেও যেন দেখার কেউ নেই।
এলাকার আরিফ শেখ, হেলাল উদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পান না। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহিনুর শেখ বলেন, এলাকার অনেককে ম্যানেজ করে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসন এলে বালু তোলা বন্ধ রাখতে হয়। প্রশাসন অভিযানে আসার আগেই তারা অগ্রিম সংবাদ পেয়ে থাকেন। এ কারণে তাদের তেমন ঝামেলা হয় না। সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তারা কয়েকজন সাংবাদিককেও কিছু টাকা মাসোহারা দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রির বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। নদী থেকে কেউ বালু বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে চার-পাঁচবার অভিযান চালিয়ে বালু তোলার ড্রেজার ও ড্রেজারের পাইপ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের অভিযান চলছে।