কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের ব্যবসায়ী উবায়দুল হক পাইলট হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শাহাদৎ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া স্যান্ডেলের সূত্র ধরে খুনি শাহাদৎকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে শাহাদাৎ।
গ্রেপ্তার শাহাদাৎ (৩২) উপজেলার বাজরা মাছিমপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রী।
কুলিয়ারচর থানার পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, মরদেহের নিচে খুনিদের কেউ তার ডান পায়ের একটি জুতা ফেলে যায়। ওই জুতাটিকে কেন্দ্র করেই খুনি চিহ্নিত করার তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাজরা বাসস্ট্যান্ড ও কয়েকটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজগুলো বার বার দেখে পথচারীদের পায়ে ব্যবহৃত জুতার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সময় ফেলে যাওয়া জুতার সাদৃশ্য বের করা হয়। একপর্যায়ে ওই জুতা ব্যবহারকারী হিসেবে শাহাদাৎকে চিহ্নিত করে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এ ঘটনায় আরও তিনজন জড়িত বলে জানিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঘটনায় জড়িত বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তারের স্বার্থে খুনের কারণ সম্পর্কে এখনই বলা যাচ্ছে না।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার বাজরা বাসস্ট্যান্ড বাজারের চাল ব্যবসায়ী উবায়দুল হক পাইলট বাড়ি ফেরার পথে খুন হন। দুর্বৃত্তরা গলা কেটে তাঁকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পাইলটের মা মোছা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ ঘটন য় প ইলট
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা তীরের বালু বিক্রি ভাঙনের শঙ্কা
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীর তীরের বালু তুলে অবাধে বিক্রি করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে নদীতে পানি বাড়লে ওই সব এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসীর শঙ্কা।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কাউকে তোয়াক্কা না করে নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে দিন-রাত এ বালু বিক্রি করছেন। এভাবে বালু বিক্রি করায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েকজন জানান, উপজেলার যমুনা তীরের রৌহা ও বাগুলি এলাকায় বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বালু বিক্রি করছেন লেবু শেখসহ ছয়-সাতজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করলেও যেন দেখার কেউ নেই।
এলাকার আরিফ শেখ, হেলাল উদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পান না। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহিনুর শেখ বলেন, এলাকার অনেককে ম্যানেজ করে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসন এলে বালু তোলা বন্ধ রাখতে হয়। প্রশাসন অভিযানে আসার আগেই তারা অগ্রিম সংবাদ পেয়ে থাকেন। এ কারণে তাদের তেমন ঝামেলা হয় না। সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তারা কয়েকজন সাংবাদিককেও কিছু টাকা মাসোহারা দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রির বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। নদী থেকে কেউ বালু বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে চার-পাঁচবার অভিযান চালিয়ে বালু তোলার ড্রেজার ও ড্রেজারের পাইপ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের অভিযান চলছে।