রিজওয়ানের নেতৃত্ব নিয়ে আমির, ‘ফেরারি থেকে এখন রিকশা’
Published: 3rd, March 2025 GMT
আরেকটি আইসিসি টুর্নামেন্ট, পাকিস্তানের আরেকটি ব্যর্থতা। এরপর যা হওয়ার কথা সেটাই হচ্ছে; পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, দলটির খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও অধিনায়কের দিকে ছুটে যাচ্ছে সমালোচনার তীব্র তির! চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের ভরাডুবির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দলটির সাবেক ক্রিকেটারদের কেউ দুষছেন ক্রিকেট বোর্ডকে, কেউ কোচ আকিব জাভেদকে বদলানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন, কেউ আবার দায় দিচ্ছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।
পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিরই যেমন পাকিস্তানের ভরাডুবির পেছনে রিজওয়ানের নেতৃত্বের সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন। বাবর আজমকে সরিয়ে গত বছরের অক্টোবরে সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেওয়া হয় রিজওয়ানকে। তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জেতে পাকিস্তান। তবে টি–টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলেও সিরিজ হেরেছে তারা অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।
পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জওয় ন
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা তীরের বালু বিক্রি ভাঙনের শঙ্কা
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীর তীরের বালু তুলে অবাধে বিক্রি করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে নদীতে পানি বাড়লে ওই সব এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসীর শঙ্কা।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কাউকে তোয়াক্কা না করে নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে দিন-রাত এ বালু বিক্রি করছেন। এভাবে বালু বিক্রি করায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েকজন জানান, উপজেলার যমুনা তীরের রৌহা ও বাগুলি এলাকায় বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বালু বিক্রি করছেন লেবু শেখসহ ছয়-সাতজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করলেও যেন দেখার কেউ নেই।
এলাকার আরিফ শেখ, হেলাল উদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পান না। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহিনুর শেখ বলেন, এলাকার অনেককে ম্যানেজ করে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসন এলে বালু তোলা বন্ধ রাখতে হয়। প্রশাসন অভিযানে আসার আগেই তারা অগ্রিম সংবাদ পেয়ে থাকেন। এ কারণে তাদের তেমন ঝামেলা হয় না। সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তারা কয়েকজন সাংবাদিককেও কিছু টাকা মাসোহারা দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রির বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। নদী থেকে কেউ বালু বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে চার-পাঁচবার অভিযান চালিয়ে বালু তোলার ড্রেজার ও ড্রেজারের পাইপ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের অভিযান চলছে।