কক্সবাজারের পেকুয়ায় গুলি করে ডাকাত দল এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে গরু লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার গভীর রাতে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা চড়াপাড়া গ্রামে আহমদ কবিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

আহমেদ কবির চট্টগ্রাম চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল কবিরের বাবা। 

জানা গেছে, ওসি জাহেদুল কবিরের বাড়িতে তাঁর বাবা আহমদ কবির এবং ছোট ভাই মনিরুল কবির থাকেন। তাঁদের বাড়িতে একটি গরুর খামার রয়েছে। মনিরুল কবির পারিবারিক খামারের গরুর দেখাশোনা করে আসছেন।

মনিরুল কবির জানান, রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে জানান, তাঁদের বাড়ির অদূরে সড়কে একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়িয়ে রয়েছে। খবর শুনে সন্দেহ হওয়ায় তিনি ঘর থেকে বের হতেই তাঁর দিকে টর্চের আলো ফেলেন ডাকাত দলের সদস্যরা। এরপর ডাকাতরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাঁর দুটি ষাঁড় ও একটি বাছুর পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় একটি গাভী গাড়িতে তুলতে না পারায় নিচে ফেলে রেখে যায় তারা। 

ডাকাত দলে ১২ থেকে ১৩ জন ছিলেন জানিয়ে মনিরুল কবির অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তাঁর পুলিশ কর্মকর্তা ভাইয়ের নেতৃত্বে চকরিয়ার এক জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই জনপ্রতিনিধি গরু চোর চক্রের নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তাঁর চক্রের সদস্যরা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তিনি ধারণা করছেন।

এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মো.

জাহেদুল কবির বলেন, ডাকাতির ঘটনার সময় তিনি কর্মস্থলে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন। 

পেকুয়া থানার ওসি সিরাজুল মোস্তফা বলেন, থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল শ কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ, টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার সেই ৬ শ্রমিক

অবশেষে কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে সিলেটের সেই ছয় শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে তাদেরকে অপহরণ করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উদ্ধারকৃতরা হলেন– লোহারমহল গ্রামের মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), ইউপি সদস্য ছফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ আহমদ (১৯) ও মৃত সরবদির ছেলে আব্দুল জলিল (৪০)।

এর আগে ১৫ এপ্রিল সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সেই ৬ শ্রমিক কাজের সন্ধানে কক্সবাজার যান। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও তার পর থেকে তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সিলেটের সেই ছয় শ্রমিককে উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুদ্দিন শাহীন বলেন, ‘অপহরণকারীরা তাদের মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে পাহাড়ি এলাকায় জিম্মি করে রেখেছিল। পুলিশ তাদের খোঁজে রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অপহরণকারীরা পালিয়ে গেলেও ছয় শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই সুস্থ আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘সিলেটের নিখোঁজ ছয় শ্রমিকদের টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ। তারা এখন টেকনাফ থানায় রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চারজনের ‘শহীদ’ মর্যাদার ভাগ্য জেলা প্রশাসকের হাতে
  • নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে কাল খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হলে বিকল্প কী, সে পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশের
  • নির্বাচ‌নে একক প্রার্থী দে‌বে ৫টি ইসলামি দল
  • সংস্কারের বেশ কিছু মৌলিক সুপারিশের বিষয়ে একমত হয়নি বিএনপি
  • মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ, টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার সেই ৬ শ্রমিক
  • পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে, আহত ২ 
  • পুলিশের ওপর হামলা জামায়াত-শিবিরের, আহত ২ 
  • ঢাবিতে ১ বছরে চীনা শিক্ষার্থী বেড়ে দ্বিগুণ
  • ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ