মেজাজ হারালেন শান্ত, বড় হারে আবাহনীর শুরু
Published: 3rd, March 2025 GMT
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের চলতি আসরে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মেজাজ হারানোর ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৬ উইকেটের হারে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৩৪ রানে থামে আবাহনী। তাড়া করতে নেমে ৩০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের দেখা পায় অগ্রণী ব্যাংক।
তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয় অগ্রণী ব্যাংকের। ইমরানুজ্জামান-সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৮ রান। ইমরানুজ্জমান ৩৫ রানে আউট হলে ভাঙে ৫৮ রানের জুটি।
আরো পড়ুন:
খাদের কিনারা থেকে দলকে তুলে শামীমের ঝকঝকে ৯৮
ইফতেখারের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মোহামেডানের হোঁচট
এরপর সাদমান ইসলামের সঙ্গী হন ইমরুল কায়েস। সাদমান ৪৬ রানে ফিরলেও ইমরুল জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে তবে মাঠ ছাড়েন। ইমরুল পেতে পারতেন শতকও। কিন্তু নব্বইয়ের ঘরে এসে ছয় হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন রাকিবুল হাসানের হাতে।
ইমরুলের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৯৪ রান আসে। ৯৪ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান ইমরুল। অমিত হাসান করেন ৪৪ রান। থিতু হওয়া ব্যাটাররা দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। দুই নতুন ব্যাটার মার্শাল আইয়ুব (৬) ও তাইবুর রহমান (০) অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মাহফুজুর রাব্বি।
এর আগে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত-পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটিতে ভর করে ২৩৫ রানের লক্ষ্য দিতে পারে আবাহনী। মোসাদ্দেক সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন। ইমনের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। ২৭ রান করেন মুমিনুল হক। আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি।
অধিনায়ক শান্ত ৫১ বলে ২০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। নাঈম হাসানের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। এই আউট মেনে নিতে পারেননি আবাহনী অধিনায়ক। আম্পায়রকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলতে দেখা যায়। এরপর মাঠের বাইরে না যেতেই ছুঁড়ে ফেলেন হেলমেট। অগ্রণীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট ইমর ল
এছাড়াও পড়ুন:
কিউইদের ২৫০ রানের লক্ষ্য দিল ভারত
গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে দাপটের সঙ্গে হারানোর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। ৩০ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার রোহিত শর্মা, শুভমন গিল ও বিরাট কোহলিকে হারায় তারা। সেখান থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২৪৯ রানের পুঁজি পেয়েছে ভারত।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম ধাক্কা দেন কাইল জেমিনসন। দারুণ ছন্দে থাকা গিলকে (১৫) ফেরান তিনি। এরপর ম্যাট হেনরির বলে সাজঘরে ফেরেন রোহিত (২) ও বিরাট (১১)। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা বিরাট পয়েন্টে গ্লেন ফিলিপসের হাতে দুর্দুান্ত এক ম্যাচ হয়ে ফিরে যান।
এরপর চারে নামা শ্রেয়াস আইয়ার ও পাঁচে নামা অক্ষর প্যাটেল ৯৮ রানের জুটি গড়েন। অক্ষর ৬১ বলে ৪২ রান করে আউট হন। তিনটি চারের সঙ্গে একটা ছক্কা মারেন তিনি। কেএল রাহুলের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি দিয়ে আউট হন আইয়ার। তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। ৯৮ বলের ইনিংস চারটি চার ও দুটি ছক্কায় সাজান।
রাহুল সেট হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি ২৯ বলে ২৩ রান করে আউট হন। হার্ডিক পান্ডিয়া দলকে আড়াই’ ছোঁয়া পুঁজি এনে দেন। তার ব্যাট থেকে ৪৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস আসে। চারটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা মারেন এই ব্যাটার।
ভারতের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন হেনরি। টপ অর্ডারে ধস নামানো এই পেসার ৮ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। জেমিনসন, ওরর্কি, মিশেল স্যান্টনার ও রাচিন রবীন্দ্র একটি করে উইকেট নেন। গ্রুপের এই শেষ ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করছে সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি হবে। জিতলে ভারত ফাইনালের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পাবে। হারলে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।