ক্রোম ব্রাউজারে বাড়তি সুবিধা পেতে অনেকেই এক বা একাধিক এক্সটেনশন ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের এই আগ্রহ কাজে লাগিয়ে ১৬টি ব্রাউজার এক্সটেনশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরিসহ অনুমোদনহীন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন ও সার্চ ইঞ্জিন জালিয়াতির মতো কার্যক্রম চালাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। আর তাই অনলাইনে নিরাপদ থাকতে নিজেদের যন্ত্র থেকে দ্রুত ব্রাউজার এক্সটেনশনগুলো মুছে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গিটল্যাব থ্রেট ইন্টেলিজেন্স।

গিটল্যাব থ্রেট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ একদল সাইবার অপরাধী ক্রোম ব্রাউজারের বেশ কয়েকটি এক্সটেনশনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিয়েছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩২ লাখ ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারী সাইবার হামলার ঝুঁকিতে পড়েছেন। এক্সটেনশনগুলোর ক্ষতিকর আপডেটের মাধ্যমে ব্রাউজার থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া, ওয়েব ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহারকারীদের অজান্তে বিজ্ঞাপন চালানোর মতো প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সাইবার অপরাধীরা।

আরও পড়ুনক্রোম ব্রাউজারে যুক্ত এক্সটেনশন নিষ্ক্রিয় করবেন যেভাবে০৩ জুলাই ২০২৪

ঝুঁকিপূর্ণ এক্সটেনশনগুলো হলো ব্লিপশট, ইমোজিস (ইমোজি কি–বোর্ড), কালার চেঞ্জার ফর ইউটিউব, ভিডিও ইফেক্টস ফর ইউটিউব অ্যান্ড অডিও এনহ্যান্সার, থিমস ফর ক্রোম অ্যান্ড ইউটিউব, পিকচার-ইন-পিকচার, মাইক অ্যাডব্লক ফর ক্রোম, সুপার ডার্ক মোড, ইমোজি কি–বোর্ড ইমোজিস ফর ক্রোম, অ্যাডব্লকার ফর ক্রোম (নোঅ্যাডস), অ্যাডব্লক ফর ইউ, অ্যাডব্লক ফর ক্রোম, নিম্বল ক্যাপচার, কে-প্রক্সি, পেজ রিফ্রেশ, উইস্টিয়া ভিডিও ডাউনলোডার ও ডব্লিউএ টুলকিট।

গুগল ইতিমধ্যে এসব এক্সটেনশন ক্রোম ওয়েব স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলেছে। তবে যাদের ব্রাউজারে এগুলো ইনস্টল রয়েছে, তাদের এগুলো নিজ থেকে মুছে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে ভাইরাস স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞরা।

ক্রোম এক্সটেনশনের মাধ্যমে হ্যাকারদের সাইবার হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে সম্প্রতি যেসব এক্সটেনশনের মাধ্যমে সাইবার হামলার ঘটনা ঘটছে, সেগুলো জনপ্রিয় হওয়ায় ঝুঁকি আগের তুলনায় বেড়েছে। আর তাই অনলাইন থেকে নামানোর আগে ব্রাউজার এক্সটেনশনের বিষয়ে অন্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা বা মতামত জানার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফর ক র ম ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রোম ব্রাউজারের ১৬ এক্সটেনশন থেকে সাবধান

ক্রোম ব্রাউজারে বাড়তি সুবিধা পেতে অনেকেই এক বা একাধিক এক্সটেনশন ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের এই আগ্রহ কাজে লাগিয়ে ১৬টি ব্রাউজার এক্সটেনশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরিসহ অনুমোদনহীন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন ও সার্চ ইঞ্জিন জালিয়াতির মতো কার্যক্রম চালাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। আর তাই অনলাইনে নিরাপদ থাকতে নিজেদের যন্ত্র থেকে দ্রুত ব্রাউজার এক্সটেনশনগুলো মুছে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গিটল্যাব থ্রেট ইন্টেলিজেন্স।

গিটল্যাব থ্রেট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ একদল সাইবার অপরাধী ক্রোম ব্রাউজারের বেশ কয়েকটি এক্সটেনশনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিয়েছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩২ লাখ ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারী সাইবার হামলার ঝুঁকিতে পড়েছেন। এক্সটেনশনগুলোর ক্ষতিকর আপডেটের মাধ্যমে ব্রাউজার থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া, ওয়েব ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহারকারীদের অজান্তে বিজ্ঞাপন চালানোর মতো প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সাইবার অপরাধীরা।

আরও পড়ুনক্রোম ব্রাউজারে যুক্ত এক্সটেনশন নিষ্ক্রিয় করবেন যেভাবে০৩ জুলাই ২০২৪

ঝুঁকিপূর্ণ এক্সটেনশনগুলো হলো ব্লিপশট, ইমোজিস (ইমোজি কি–বোর্ড), কালার চেঞ্জার ফর ইউটিউব, ভিডিও ইফেক্টস ফর ইউটিউব অ্যান্ড অডিও এনহ্যান্সার, থিমস ফর ক্রোম অ্যান্ড ইউটিউব, পিকচার-ইন-পিকচার, মাইক অ্যাডব্লক ফর ক্রোম, সুপার ডার্ক মোড, ইমোজি কি–বোর্ড ইমোজিস ফর ক্রোম, অ্যাডব্লকার ফর ক্রোম (নোঅ্যাডস), অ্যাডব্লক ফর ইউ, অ্যাডব্লক ফর ক্রোম, নিম্বল ক্যাপচার, কে-প্রক্সি, পেজ রিফ্রেশ, উইস্টিয়া ভিডিও ডাউনলোডার ও ডব্লিউএ টুলকিট।

গুগল ইতিমধ্যে এসব এক্সটেনশন ক্রোম ওয়েব স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলেছে। তবে যাদের ব্রাউজারে এগুলো ইনস্টল রয়েছে, তাদের এগুলো নিজ থেকে মুছে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে ভাইরাস স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞরা।

ক্রোম এক্সটেনশনের মাধ্যমে হ্যাকারদের সাইবার হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে সম্প্রতি যেসব এক্সটেনশনের মাধ্যমে সাইবার হামলার ঘটনা ঘটছে, সেগুলো জনপ্রিয় হওয়ায় ঝুঁকি আগের তুলনায় বেড়েছে। আর তাই অনলাইন থেকে নামানোর আগে ব্রাউজার এক্সটেনশনের বিষয়ে অন্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা বা মতামত জানার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ