তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান
Published: 3rd, March 2025 GMT
সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান। বিচারপতি সহিদুল করিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১০ সালের ১৩ জুন গুলশান থানায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই মামলা করে দুদক। মামলায় ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট রায় দেন বিশেষ জজ আদালত-৩। রায়ে মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন মাহমুদুর রহমান। আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পারভেজ হোসেন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। শুনানি শেষে আজ আপিল মঞ্জুর করে রায় দেওয়া হয়।
পরে আইনজীবী পারভেজ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সম্পদের বিবরণী দিতে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাব না দেওয়ার ওপর ভিত্তি করে ২৭ ধারায় মামলা করে দুদক। বিচারিক আদালত তিন বছরের সাজা দিয়েছিলেন। আপিলে সেই দণ্ড থেকে তাঁকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ন বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীর কবির ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির ও ডাক্তার তাসনিম জারাসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থারও অনুরোধ জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এ নোটিশ পাঠান।
মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বায়েজিদ হোসেন ও নাঈম সরদারের পক্ষে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীলতার ভয়াবহতা বর্ণনা করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর ডাকযোগে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বিসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে আদালতে জাপা প্রার্থী
সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সাংবাদিককে ১০ দিন কারাদণ্ড
নোটিশে বর্ণনা করা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী যে কোনো ধরনের অশ্লীল ছবি বা ভিডিও তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ করা বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু নোটিশ গ্রহীতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে অনেকে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি, ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশ করে আসছেন। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পারিবারিক এবং সামাজিক পরিমণ্ডলে এসবের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব পড়ছে। এতে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে।
অবিলম্বে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ