নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৭ নং ওয়াডের পাইকপাড়া অবস্থিত বেপারীগলিতে মাদক ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে রক্ষকদের ম্যানেজ করে রমরমা মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে মাদক ব্যবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা। 

সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় মাদক ব্যবসা। আর গভীর রাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদক সেবীরা ভিড় জমায় এই গলিতে। আর প্রকাশ্যে ঘুরে ঘুরে মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

১৭নং ওয়ার্ডের এলাকাটি নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সন্নিকটে হলেও অদৃশ্য কারণে প্রশাসনের নজরের বাহিরে রয়েছে। এলাকাটিতে মাদক ব্যবসায়ীদের সয়লাব আর সেই সঙ্গে বাড়ছে চুরি-ছিনতাই, রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা, প্রায় সময়েই চলে কিশোর গ্যাংয়ের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া।

১৭নং ওয়ার্ডের বেপারীগলিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ফিরোজ ও কালুর তত্ত্বাবধানে চলছে মাদকের রমরমা মাদক ব্যবসা। এই মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের কারণে আমরা ভয়ে রাতে বের হতে পারিনা। রাতে আমাদের বাসা থেকে বের হওয়া যেন দিনে দিনে দুষ্কর হয়ে পড়ছে।

তারা এখন আবার নতুন করে মাদক ব্যবসাকে আরও গতিশীল করার জন্য এখন সরকারি রাস্থায় গেট লাগানোর পায়তারা করছে। আর এলাকার অনেকেরই সাথে কথা বলতে গেলে সবাই ভয়ে এড়িয়ে যায়।তাদের এড়িয়ে যাওয়াতে স্পষ্ট বুঝা যায় এই মাদক ব্যবসায়ীদে পিছনে অনেক বড় শক্তি কাজ করছে।  

এদিকে এলাকাবাসী জানায়, মাদক ব্যবসা নির্বিঘ্নে করার জন্য সরকারী রাস্তায় গেট বসানোর পায়তারা করছে।গলির মানুষের নিরাপত্তার কথা সামনে এনে মাদক ব্যবসা নির্বিঘ্নে করার জন্যই সরকারী রাস্তায় গেট বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ বিগত সময়গুলোতে এখানে কোন গেট ছিল না। তখন তো গলির মানুষের কথা চিন্তা করে নাই ।

হঠাৎ এতদিন পর কেন তারা গেট লাগাতে চাচ্ছে। যদি গেট লাগানো খুব বেশি প্রয়োজন মনে করে তাইলে সবাই সবার বাড়ির মধ্যে গেট লাগাতে পারত। কিন্তু জনগনের চলাচলের রাস্তায় গেট লাগিয়ে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে চাইতাসে কিছু মানুষ।

মুলত মাদকের জমজমাট ব্যবসা কোনপ্রকার ঝামেলা ছাড়া করার জন্যই এই গেট দেয়ার পায়তারা করসে একটি চক্র। এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী এলকাবাসী।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে আগুনে ঝুটের গুদাম ও এমব্রয়ডারি কারখানা পুড়ে গেছে

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় আগুনে একটি ঝুটের গুদাম ও একটি এমব্রয়ডারি কারখানা পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ ঝুটের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং পাশে থাকা এমব্রয়ডারি কারখানায়ও ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট টানা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘এই টাকা দিলে মান-সম্মান থাকে?’ বলা সেই ওসিকে বদলি
  • শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে নদী ভাবনা
  • সোনারগাঁয়ে জামায়াতের ব্যাপক গণসংযোগ
  • আড়াইহাজার থানার সেই ওসি এনায়েত অবশেষে বদলি
  • স্ত্রীকে হত্যা করে লাশের পাশেই বসেছিলেন স্বামী
  • বন্দর থানা (মহানগর) জাসাস’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
  • স্ত্রীকে হত্যার পর ছুরি হাতে লাশের পাশে বসেছিলেন রব মিয়া
  • পেশাজীবী গাড়িচালকদের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • আড়াইহাজারে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী আটক
  • নারায়ণগঞ্জে আগুনে ঝুটের গুদাম ও এমব্রয়ডারি কারখানা পুড়ে গেছে