ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসানের পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে নতুন কাউকে নিয়োগের দাবি করেন সমন্বয়করা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.

এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, সাজ্জাতুল্লাহ শেখসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সমন্বয়করা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক জায়গায় এখনো আওয়ামীলীগ বা তার ফ্যাসিস্টরা বসে আছে। এ ব্যাপারে আমরা সোচ্চার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ফ্যাসিস্টরা কোনোভাবেই জায়গা পাবে না। 

তারা আরো বলেন, আমরা আজ একটা দাবি নিয়ে এসেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যতম স্টেক হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। কিন্তু সেটাও ফ্যাসিস্টদের দখলে। উপাচার্য স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে নতুন একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হবে। অলরেডি তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আমরা চাই একজন সৎ যোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কাজগুলো পরিচালিত হোক।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এর আগে আমরা শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রেজিস্ট্রার নিজে কোনো ড্রাফট তৈরি করতে পারে না, ইংরেজিতে কথা বললে তিনি সেটা বুঝতে পারে না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে এসব পদের পরিবর্তন আনতে হবে।

ইবির প্রধান সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদের যারা দোসর ছিল, বর্তমান প্রশাসন এখনো তাদের পুরোপুরি ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বলেছি, আমাদের যে বিভিন্ন ফাঁকা পোস্ট আছে, সেখানে সৎ ও যোগ্য ব্যাক্তি নিয়োগ দেওয়া হোক। অবশ্যই নিয়োগগুলো মেধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। উপাচার্য আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। অতীতে যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারেও আশ্বস্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে।”

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যদি তাদের কোন দাবি নিয়ে আসে আর সেটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক হয়, তাহলে অবশ্যই সে ব্যাপারে আমরা বিবেচনা করব। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখা অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও আছে, আমি সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কথা বলি।”

তিনি বলেন, “যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন ধারার একটি নব উত্থিত আন্দোলনকারী দল এবং তারা এ বাংলাদেশের পরিবর্তন সাধন করেছে। সেহেতু আমরা অবশ্যই তাদের মূল্যায়ন করব।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ

সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়েছে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা বিল্লাল হোসেনের ঠিকাদারি লাইসেন্স। বাবার এ ‘ভুলের’ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আসিফ মাহমুদ। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন উপদেষ্টা। এ সময় তার বাবার লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন এবং এ সংক্রান্ত কাগজপত্র শেয়ার করেন। 

আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে শুরুতেই তার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “গতকাল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন।”

তিনি লেখেন, “বিষয়টি ওই সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম”।

আসিফ জানান, তার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে তার বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য তাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন।

“বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোনো লাইসেন্স করতেই পারেন। তবে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট' বা স্বার্থের সংঘাত।” 

বিষয়টি বোঝার পর আজ তার বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান আসিফ মাহমুদ। 
তিনি লেখেন, “বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেননি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।” 

এই লাইসেন্স ব্যবহার করে মধ্যবর্তী সময়ে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি বলেও সেখানে উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোহ কাঠের নৌকা: বাস্তবতার এক প্রতিচ্ছবি
  • বৈচিত্র্যময় প্রতিভার মরিস ল্যাংলো ওয়েস্ট
  • জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
  • রিয়ালের আগ্রহ নিয়ে মুখ খুললেন অ্যালিস্টার 
  • ‘কিছু লোকজনের অনুরোধে’ ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে ‘বিব্রত’ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা
  • সরকার বাংলাদেশকে উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রে রূপান্তর করতে চায়: বিনিয়োগকারীদের প্রধান উপদেষ্টা
  • দুর্লভ হীরা চুরি, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার খেলা
  • ‘জুয়েল থিফ’
  • বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ
  • প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন চবি অধ্যাপক