কাশীপুরে তিন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই
Published: 3rd, March 2025 GMT
ফতুল্লার কাশীপুরে তিন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। সোমবার (৩ মার্চ) ভোরে ছিনতাই করার সময় জনতা তাদের হাতেনাতে আটক করে।
স্থানীয়রা জানায়, কাশীপুর ব্রীজ এলাকায় ছিনতাই করার সময় জনতা এলাকার চিহিৃত মাদক বিক্রেতা ও ছিনতাইকারী জাহাঙ্গীর (৪৬), জাবেদ (৪০) ও ওসমান (৪২)। ছিনতাইকারীদের আটকের পরে গণধোলাই দিয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ছবি দেখে বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে ছিনতাইকারী জাহাঙ্গীর (৪৬) কাশীপুর ওয়ারিশ সরদার বাড়ির মৃত ফজর আলীর ছেলে, জাবেদ একই এলাকার মৃত আবু মিয়ার ছেলে। এরা দুইজন সর্ম্পকে আত্মীয়। উভয়ে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনির কর্মী। তাদেরকে রনির সঙ্গে মিছিল মিটিংয়ে দেখা যেতো।
অপর ছিনতাইকারী ওসমানও পেশাদার ছিনতাইকারী। এর আগেও কয়েকবার সে জনতার হাতে আটক হয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ এলে আমরা আন্তরিকতার সাথে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ওই তিন ছিনতাইকারীকে স্থানীয় জনতা আটকের পরে ছেড়ে দিয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই গণধ ল ই
এছাড়াও পড়ুন:
আত্মোপলব্ধি
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কেন যেন কান্না পাচ্ছে শান্তর। মায়ের মুখটাও মলিন। বড় বোন নূপুর আর মা পেছন পেছন শান্তর সঙ্গে রাস্তায় এসে দাঁড়ালেন। তিনজনের চোখেই জল টলমল করে, কেউ কারও চোখে চোখ রাখতে সাহস পাচ্ছে না। শান্ত অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে তড়িঘড়ি করে উঠে বসল। নূপুর শান্তর কাছে এসে হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে বললেন, ‘পথে ক্ষুধা লাগলে কিছু খেয়ে নিস। কোনো একটা চাকরির চেষ্টা করিস।’ এবার আবার শান্তর গন্তব্য ঢাকা শহর।
কয়েক বছর আগে পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতে চলে এসেছিল। অনার্স প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় সহপাঠী ঝুমুরের সঙ্গে শান্ত প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অনার্সের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষে হঠাৎ ঝুমুরের বিয়ে হয়ে যায়। এ খবর শান্তকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়। দিশা হারিয়ে ফেলে। কী করবে, কী করবে না বুঝতে পারে না। দ্রুতই শান্ত অনেকটা ভেঙে পড়ে। অন্য কিছুতেই আর মন বসে না তার।
শান্তদের যৌথ পরিবার। তারা তিন ভাই, এক বোন। বাবা নেই, মা আছেন। দুই ভাই বিয়ে করেছেন। কয়েক মাস হয়ে গেল শান্ত ঢাকায় এসেছে। এখনও কাজ খুঁজে পায়নি। এক সন্ধ্যায় তার রুমমেট তাকে ভিজিটিং কার্ড দিয়ে পরের দিন একটি অফিসে যেতে বললেন। রুমমেট এতটুকু আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘তুমি যাও, চাকরিটা হবে; আমি বলে রেখেছি তোমার কথা।’ পরদিন সকালে তড়িঘড়ি করে না খেয়েই বেরিয়ে গেল শান্ত। একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে তার চাকরি হলো। কয়েকদিন যেতে না যেতেই সে বুঝতে পারল এ কাজে অনেক চাপ। টার্গেট সম্পূর্ণ না হলে অনেক কথা শুনতে হয়।
একদিন ফিল্ড থেকেই দুপুরে বাসায় চলে এলো। শান্তর মনিটরিং অফিসার শান্তকে একের পর এক কল দিয়ে যাচ্ছেন। মোবাইল সাইলেন্ট করে শুয়ে আছে। ধরে কী বলবে! উত্তর জানা নেই তার। কোনো কিছুই যেন মাথায় কাজ করছে না। কি যেন চিন্তা করতে করতে পাঁচ তলা ভবনের ছাদে যায়। ছাদ থেকে নিচে তাকিয়ে দেখে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছু একটা ঝামেলা হচ্ছে। ধীরে ধীরে মানুষের সমাগম বাড়ছে। কেউ ঝগড়া করছে, কেউ দাঁড়িয়ে শুনছে। পাশে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ চা-সিগারেট খাচ্ছে। ঝগড়া শেষে যার যার স্থানে চলে যায়। এসব দেখে শান্ত একটি অনুধাবন করল– এই কঠিন শহরে আসলে কেউ কারও নয়, যার যার সমস্যা তাকে সমাধান করতে হয়। এ কথা ভাবতে ভাবতে সে আবার কাজের উদ্দেশে পা বাড়ায়…। v
সুহৃদ ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি