ফের একসঙ্গে ‘তোরা দেখ রে চাহিয়া’ বিজ্ঞাপনের সেই তিনজন
Published: 3rd, March 2025 GMT
১৬ বছর আগে প্রচারিত গাজী পাম্পের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন এখনও অনেকের মনে গেঁথে আছে। ‘তোরা দেখ দেখ দেখ রে চাহিয়া/কৃষক ক্ষেতে পানি দেয় গাজী পাম্প দিয়া’- এই জিঙ্গেল তখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বিজ্ঞাপনটিতে অভিনয় করেছিলেন সংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি, অভিনয়শিল্পী ডা. এজাজুর রহমান ও নাসরিন। এই ত্রয়ী আবারও একফ্রেমে আসছেন একই কাজের জন্য!
নতুন বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে নাসরিন বলেন, ‘১৬ বছর আগে আমরা একসঙ্গে গাজী পাম্পের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলাম। এখন আবারও একই প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজ করছি-এটা সত্যিই দারুণ লাগছে।’
তিনি জানান, ঢাকার অদূরে আজ বিজ্ঞাপনটির শুটিং চলছে। নতুন বিজ্ঞাপনের ধারণা ও নির্মাণ কেমন হবে, তা এখনো পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গেছে, আগের জিঙ্গেলের সুর ও আবহ ধরে রেখেই আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মিলিয়ে নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বিজ্ঞাপনটি।
এতে কুদ্দুস বয়াতির কণ্ঠ বা আগের মতোই একই ধরনের উপস্থাপনা থাকবে কি-না-এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে শিল্পীদের দাবি, আগের জনপ্রিয়তা মাথায় রেখেই বিজ্ঞাপনটি তৈরি করা হচ্ছে, যাতে পুরনো দর্শকরা নস্টালজিক হন এবং নতুন প্রজন্মও এর প্রতি আগ্রহী হয়।
কৃষকদের জন্য তৈরি গাজী পাম্প তখনকার সময়ে যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, তার একটি বড় কারণ ছিল এই তিন শিল্পীর অসাধারণ উপস্থিতি এবং গান। দর্শকদের জন্য নতুন বিজ্ঞাপনটি কতটা আকর্ষণীয় হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক দ দ স বয় ত জনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
এক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা
যারীন তাসনীম ও যাহরা তাসনীম যমজ বোন। মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন। এক টেবিলে পড়াশোনা, এক বিছানায় ঘুমানো—এভাবেই কেটেছে ১৭টি বছর। একজনের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া, অন্যজনের প্রকৌশলী। সম্প্রতি যারীন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এবং যাহরা টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে।
যারীন ও যাহরা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শিক্ষক দম্পতি আবু জুয়েল ও চায়না আক্তারের যমজ মেয়ে। শিক্ষাজীবনে পিএসসি থেকে শুরু করে সব পরীক্ষায় তাঁরা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। যারীন-যাহরার বাবা আবু জুয়েল উপজেলার সূর্য তরুণ শিক্ষাঙ্গন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আর মা চায়না আক্তার উপজেলার শান্তিকুঞ্জ একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামে।
যারীন তাসনীম এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর হলিক্রস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে মায়ের পেটে ছিলাম। এক দোলনায় শুয়েছি। বড় হয়ে একই বিছানায় ঘুমিয়েছি। স্কুল-কলেজে একই বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করেছি। শুধু কলেজ ছাড়া ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত এক সেট বইয়ে দুজন পড়েছি। আমাদের কখনো মুঠোফোন দেওয়া হয়নি। তবে কলেজে দুজনে মিলে একটি বাটন ফোন চালিয়েছি। ১৭ বছর একসঙ্গে থেকেছি। স্বপ্নপূরণে ও ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে এখন থেকে আমাদের আলাদা থাকতে হবে।’
মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন যমজ দুই বোন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে