আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
Published: 3rd, March 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৫।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে খুলনার ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে। জেলার ৪৯টি তফসিলি ব্যাংককে নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনার হোটেল টাইগার গার্ডেনে দিনব্যাপী এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (৩ মার্চ) ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শওকাতুল আলম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার পরিচালক এস এম কামালুজ্জামান কামাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা জোনাল হেড মোহাম্মদ উল্লাহ্ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল মহসীন, বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক শেখ শাহরিয়ার রহমান, জাহানারা খাতুন, খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শামছুল হক ও খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর এম আবুল বাসার মোল্লা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ ফেরদৌস হাসান, সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আসাদুল হক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সম্মেলনের শুরুতে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। অনুষ্ঠানে স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। কনফারেন্সে স্কুল ব্যাংকিং সুবিধা এবং অ্যাকাউন্ট বৃদ্ধির বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনফ র ন স অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা তীরের বালু বিক্রি ভাঙনের শঙ্কা
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীর তীরের বালু তুলে অবাধে বিক্রি করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে নদীতে পানি বাড়লে ওই সব এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসীর শঙ্কা।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কাউকে তোয়াক্কা না করে নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে দিন-রাত এ বালু বিক্রি করছেন। এভাবে বালু বিক্রি করায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েকজন জানান, উপজেলার যমুনা তীরের রৌহা ও বাগুলি এলাকায় বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বালু বিক্রি করছেন লেবু শেখসহ ছয়-সাতজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করলেও যেন দেখার কেউ নেই।
এলাকার আরিফ শেখ, হেলাল উদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পান না। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহিনুর শেখ বলেন, এলাকার অনেককে ম্যানেজ করে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসন এলে বালু তোলা বন্ধ রাখতে হয়। প্রশাসন অভিযানে আসার আগেই তারা অগ্রিম সংবাদ পেয়ে থাকেন। এ কারণে তাদের তেমন ঝামেলা হয় না। সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তারা কয়েকজন সাংবাদিককেও কিছু টাকা মাসোহারা দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রির বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। নদী থেকে কেউ বালু বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে চার-পাঁচবার অভিযান চালিয়ে বালু তোলার ড্রেজার ও ড্রেজারের পাইপ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের অভিযান চলছে।