‘জ্বিন তাড়ানোর’ নামে নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, হাঁসুয়ার কোপে কবিরাজ নিহত
Published: 3rd, March 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ‘জ্বিন তাড়ানোর’ নামে নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে কবিরাজকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের হরিণগণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, হত্যার কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
নিহত ব্যক্তি চৌডালা ইউনিয়নের সাহেবগ্রাম এলাকার মৃত জয়নাল মিস্ত্রির ছেলে মো.
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরিণগণ এলাকার এক রাজমিস্ত্রীর স্ত্রীর ওপর ‘জ্বিন ভর’ করেছে বলে তার চিকিৎসা করতে রোববার রাতে মো. মতি তেলী কবিরাজ সেখানে যান। ‘জ্বিন তাড়ানোর’ কথা বলে ওই রাজমিস্ত্রীর স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে ঢোকেন কবিরাজ। কিছুক্ষণ পর তাদেরকে ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন রাজমিস্ত্রী ও তার ছেলে। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে কবিরাজ মতিকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যায় বাবা-ছেলে। পরে রাজমিস্ত্রীর মা ঘরের দরজা খুলে মতির মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন।
এ ব্যাপারে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিদর্শন করেছেন। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা তীরের বালু বিক্রি ভাঙনের শঙ্কা
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীর তীরের বালু তুলে অবাধে বিক্রি করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে নদীতে পানি বাড়লে ওই সব এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসীর শঙ্কা।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কাউকে তোয়াক্কা না করে নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে দিন-রাত এ বালু বিক্রি করছেন। এভাবে বালু বিক্রি করায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েকজন জানান, উপজেলার যমুনা তীরের রৌহা ও বাগুলি এলাকায় বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বালু বিক্রি করছেন লেবু শেখসহ ছয়-সাতজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করলেও যেন দেখার কেউ নেই।
এলাকার আরিফ শেখ, হেলাল উদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পান না। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহিনুর শেখ বলেন, এলাকার অনেককে ম্যানেজ করে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসন এলে বালু তোলা বন্ধ রাখতে হয়। প্রশাসন অভিযানে আসার আগেই তারা অগ্রিম সংবাদ পেয়ে থাকেন। এ কারণে তাদের তেমন ঝামেলা হয় না। সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তারা কয়েকজন সাংবাদিককেও কিছু টাকা মাসোহারা দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রির বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। নদী থেকে কেউ বালু বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে চার-পাঁচবার অভিযান চালিয়ে বালু তোলার ড্রেজার ও ড্রেজারের পাইপ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের অভিযান চলছে।