কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বালুভর্তি বস্তা দিয়ে চাপা দেওয়া অবস্থায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) সকালে কুমারখালী উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুরে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

নিহত মো.

শিহাব (১০) চর ঘোষপুরের রতন শেখের ছেলে। বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর সে মা তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে সরকারি আবাসন প্রকল্প গুচ্ছগ্রামে থাকত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিহাব। 

শিহাবের নানা আকাতুল্লাহ প্রামাণিক জানিয়েছেন, শিহাব প্রতিদিন গরু নিয়ে মাঠে যেত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরে। বিছানার নিচ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছে কি না, জানতে চাইলে শিহাব তা স্বীকার করে এবং জানায় যে, ২০০ টাকা খরচ করে ফেলেছে। পরে বাকি ৩০০ টাকা নিয়ে সে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি।

সোমবার বাড়ির অদূরে একটি মাঠে স্তূপ করে রাখা বালুর বস্তার নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

শিহাবের মা তাসলিমা খাতুন জানান, পাশেই তার বাবার বাড়ি। বেশিরভাগ সময় সেখানেই থাকত শিহাব। সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তারা ভেবেছিলেন, ছেলেটি খালা কিংবা ফুপুর বাড়িতে গেছে। কিন্তু, এক দিন পার হয়ে গেলেও ফিরছিল না। সব জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তাসলিমা বলেন, “শিহাবের বাবা আমাদের ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অনেক কষ্টে ছেলেকে নিয়ে গুচ্ছগ্রামে ছিলাম। স্থানীয় একটি ইটভাটায় রান্না করে দিয়ে যা পাই, তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। এখন আমি কাকে নিয়ে থাকব।”

ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা তীরের বালু বিক্রি ভাঙনের শঙ্কা

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে যমুনা নদীর তীরের বালু তুলে অবাধে বিক্রি করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে নদীতে পানি বাড়লে ওই সব এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসীর শঙ্কা।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কাউকে তোয়াক্কা না করে নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে দিন-রাত এ বালু বিক্রি করছেন। এভাবে বালু বিক্রি করায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েকজন জানান, উপজেলার যমুনা তীরের রৌহা ও বাগুলি এলাকায় বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বালু বিক্রি করছেন লেবু শেখসহ ছয়-সাতজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করলেও যেন দেখার কেউ নেই। 

এলাকার আরিফ শেখ, হেলাল উদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পান না। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহিনুর শেখ বলেন, এলাকার অনেককে ম্যানেজ করে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসন এলে বালু তোলা বন্ধ রাখতে হয়। প্রশাসন অভিযানে আসার আগেই তারা অগ্রিম সংবাদ পেয়ে থাকেন। এ কারণে তাদের তেমন ঝামেলা হয় না। সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তারা কয়েকজন সাংবাদিককেও কিছু টাকা মাসোহারা দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান আলম বলেন, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রির বিষয়টি তাঁকে কেউ জানায়নি। নদী থেকে কেউ বালু বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে চার-পাঁচবার অভিযান চালিয়ে বালু তোলার ড্রেজার ও ড্রেজারের পাইপ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের অভিযান চলছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ