বার কাউন্সিলের অযৌক্তিক ফি নির্ধারণের প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন
Published: 3rd, March 2025 GMT
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক ফি নির্ধারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা। এতে আইন অনুষদভুক্ত আইন, ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এবং আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক ফি বাতিল চাই’, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত নিন’, ‘এটা আমাদের অধিকার, কোন আবদার নয়’, ‘বিপিএসসি পারলে বার কাউন্সিলের কি হলো?’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, ‘১০২০ টাকা ৪০৮০ টাকা’, ‘প্রিলি রিটেন ভাইভা যাওয়া আসা মিলে মোট হলো কত টাকা’, ‘৪০২০ টাকা মগের মুল্লুক! ’, ‘শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হওয়া চাই’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে গুলির ঘটনার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন
দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ৪ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ অযৌক্তিক ও নজিরবিহীন। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে যেখানে প্রতিটি চাকরির ফি কমানো হয়েছে, সেখানে বার কাউন্সিলের ফি কমানোর ব্যাপারে এখনো কোন অগ্রগতি হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৮০ টাকা ছিল, এখন ফর্ম ফিলাপে আবার ৪ হাজার ২০ টাকা দেওয়াটা আমাদের জন্য প্রহসনমূলক।
তারা আরো বলেন, বার কাউন্সিলের সনদ কোন আলাদীনের চেরাগ না যে, এটা পেলেই আমরা লাখ টাকা আয় করতে পারব। এর জন্য শুরুতে এত টাকা কেন দিতে হবে? শিক্ষানবিশদের অভিভাবক হিসেবে বার কাউন্সিলকে এ অন্যায্য ফি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসাইন বলেন, “এত বড় একটা গণঅভ্যুত্থান হওয়ার পরও আমরা বৈষম্য থেকে বের হতে পারিনি। পিএসসির পরীক্ষার ফি কমানো হলেও বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট ফি এখনো অযৌক্তিক পর্যায়ে রয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “৪ হাজার ২০ টাকা শুধু একটি টাকার অংক না, অনেক শিক্ষার্থীর এক মাসের খরচ। এটা সম্পূর্ণ বৈষম্য। আমরা এ বৈষম্যের অবসান চাই। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, অন্যান্য যেসব চাকরির পরীক্ষা আছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বার কাউন্সিলের ফি নির্ধারণ করতে হবে।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে অবিলম্বে নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাণিতিক ও পদার্থবিদ্যা বিষয়ক অনুষদের ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব ও গবেষণা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে অনুমোদিত ভবনের কাজ অবিলম্বে শুরুর দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।
গণিত বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিব বলেন, “জাবি সৃষ্টির ৫০ বছরেও আমাদের বিভাগের ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকট বিদ্যমান। একটা ল্যাবে ২৫ জনের বেশি ক্লাস করতে পারে না, বসতে পারে না। অথচ আমাদের প্রতিটা ব্যাচে ৮০ জন শিক্ষার্থী। আমরা আসলে এখান থেকে কি শিখব?”
আরো পড়ুন:
জাবিতে যুক্ত হলো আরো চারটি ইলেকট্রিক কার্ট
গাছ কেটে ভবন নির্মাণের ব্যাখ্যা দিল জাবি প্রশাসন
তিনি বলেন, “ক্লাস রুমগুলো এত ছোট যে, এক বেঞ্চে ৫-৬ জন করে বসতে হয়। কেউ কেউ দাঁড়িয়েও থাকে। এটা কোনোভাবেই পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশ হতে পারে না। আমরা চাই জাবির এ পুরনো বিভাগ কোনোকিছুর সংকট থাকবে না। শিক্ষার্থীরা সবকিছুর সুবিধা ঠিকঠাক উপভোগ করবে। তাই আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, যতদ্রুত সম্ভব আমাদের ভবনের কাজ শুরু করতে হবে।”
গণিত শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি আবু রুম্মান বলেন, “চারটি বিভাগের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। তার মধ্যে গণিত বিভাগ একটি। সেই সূচনালগ্ন থেকেই গণিত বিভাগ সফলতার সঙ্গে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। এতদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো আমরা ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকটে ভুগছি। ছোট ছোট কিছু রুমে আমাদের গড়ে ৮০/৯০ জন শিক্ষার্থীকে ক্লাস করতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “একটা ল্যাব পরীক্ষা শেষ করতে আমাদের ছয়-সাতদিন লেগে যায়। এত সমস্যার পরেও আমরা এতদিন চুপ ছিলাম। এখন আমাদের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু একটি মহল আমাদের গাছ কাটার দোহাই দিয়ে ভবনের কাজ আটকানোর চেষ্টা করছে। আমি প্রশাসন বলতে চাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের ভবনের কাজ শুরু না হয়, আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকব।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী