বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক ফি নির্ধারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা। এতে আইন অনুষদভুক্ত আইন, ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এবং আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক ফি বাতিল চাই’, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত নিন’, ‘এটা আমাদের অধিকার, কোন আবদার নয়’, ‘বিপিএসসি পারলে বার কাউন্সিলের কি হলো?’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, ‘১০২০ টাকা ৪০৮০ টাকা’, ‘প্রিলি রিটেন ভাইভা যাওয়া আসা মিলে মোট হলো কত টাকা’, ‘৪০২০ টাকা মগের মুল্লুক! ’, ‘শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হওয়া চাই’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে গুলির ঘটনার প্রতিবাদে ঢাবিতে মানববন্ধন

দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ৪ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ অযৌক্তিক ও নজিরবিহীন। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে যেখানে প্রতিটি চাকরির ফি কমানো হয়েছে, সেখানে বার কাউন্সিলের ফি কমানোর ব্যাপারে এখনো কোন অগ্রগতি হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৮০ টাকা ছিল, এখন ফর্ম ফিলাপে আবার ৪ হাজার ২০ টাকা দেওয়াটা আমাদের জন্য প্রহসনমূলক।

তারা আরো বলেন, বার কাউন্সিলের সনদ কোন আলাদীনের চেরাগ না যে, এটা পেলেই আমরা লাখ টাকা আয় করতে পারব। এর জন্য শুরুতে এত টাকা কেন দিতে হবে? শিক্ষানবিশদের অভিভাবক হিসেবে বার কাউন্সিলকে এ অন্যায্য ফি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

ল' অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসাইন  বলেন, “এত বড় একটা গণঅভ্যুত্থান হওয়ার পরও আমরা বৈষম্য থেকে বের হতে পারিনি। পিএসসির পরীক্ষার ফি কমানো হলেও বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট ফি এখনো অযৌক্তিক পর্যায়ে রয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “৪ হাজার ২০ টাকা শুধু একটি টাকার অংক না, অনেক শিক্ষার্থীর এক মাসের খরচ। এটা সম্পূর্ণ বৈষম্য। আমরা এ বৈষম্যের অবসান চাই। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, অন্যান্য যেসব চাকরির পরীক্ষা আছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বার কাউন্সিলের ফি নির্ধারণ করতে হবে।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধির ফোনালাপ

যুক্তরাষ্ট্রের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যালেক্স এন ওং বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উচ্চ প্রতিনিধি) ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করেছেন। দুই কর্মকর্তা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ।

মার্কিন সরকার সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। ২০১৭ সাল থেকে তারা প্রায় ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে এবং জাতিসংঘকে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্র জুলাই বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশের ছাত্রী প্রতিবাদী নেতাদের মর্যাদাপূর্ণ ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ