রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের লক্ষ্যটা আহামরি বড় ছিল না। ৫০ ওভারে তাদের করতে হতো ২১৭ রান। কিন্তু মাঝারিমানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে।

শুরুর ৪ উইকেট হারায় ২৩ রানে। পঞ্চম উইকেট যায় ৭৩ রানে। সেখান থেকে শুরু হয় তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। সাতে নেমে ৯৮ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন শামীম। তার ক্রিজে যাওয়ার পর প্রাইম ব্যাংক আরো দুই উইকেট হারায়। ১১৩ রানে নেই তাদের সাত ব্যাটসম্যান।

খালেদ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়েন শামীম। যেখানে খালেদ ৩৭ বল খেলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৮ রান যোগ করেন। বাকিটা আসে শামীমের ব্যাট থেকে। উইকেটের চারিপাশে শট খেলে শামীম দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি চলে যান। মাত্র ২ রানের জন্য তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তার। ৮৩ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় শামীম তার ইনিংসটি সাজান।

আরো পড়ুন:

ইফতেখারের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে মোহামেডানের হোঁচট

‘ছাড় দিয়ে’ ঢাকা লিগে ক্রিকেটাররা

এর আগে ইনিংসের শুরুতে নাঈম শেখ ও সাব্বির হোসেন রানের খাতা খোলার আগে আউট হন। জাকির হাসান ২ ও অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর ৪ রানে বিদায় নেন। নাজমুল অপু ২১ বলে ২৬ করে আউট হলেও চারে নামা শাহাদাত ৩৯ বলে ৫৪ রান করে কিছুটা আশার আলো দেখান। কিন্তু তার বিদায়ের পর শামীম পুরো একা হয়ে যান। লেজের ব্যাটসম্যান খালেদকে সঙ্গে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই বাকি পথটা পাড়ি দেন।

রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন ফাহাদ হোসেন ও হাবীব মেহেদী।

এর আগে আরাফাত সানী ও নাহিদুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে রূপগঞ্জ টাইগার্স বেশিদূর যেতে পারেনি। প্রাইম ব্যাংকের দুই স্পিনার ৩টি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট পেয়েছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রূপগঞ্জ আগে ব্যাটিং করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি। ৪৮.

৪ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ২১৬ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন আব্দুল মজিদ। ৪৭ রান আসে তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে।

২ রানের জন্য শামীমের সেঞ্চুরির আক্ষেপ থাকলেও দলকে জিতিয়ে হাসি ফুটেছে তার মুখে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পগঞ জ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

খাদের কিনারা থেকে দলকে তুলে শামীমের ঝকঝকে ৯৮

রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের লক্ষ্যটা আহামরি বড় ছিল না। ৫০ ওভারে তাদের করতে হতো ২১৭ রান। কিন্তু মাঝারিমানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে।

শুরুর ৪ উইকেট হারায় ২৩ রানে। পঞ্চম উইকেট যায় ৭৩ রানে। সেখান থেকে শুরু হয় তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। সাতে নেমে ৯৮ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন শামীম। তার ক্রিজে যাওয়ার পর প্রাইম ব্যাংক আরো দুই উইকেট হারায়। ১১৩ রানে নেই তাদের সাত ব্যাটসম্যান।

খালেদ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়েন শামীম। যেখানে খালেদ ৩৭ বল খেলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৮ রান যোগ করেন। বাকিটা আসে শামীমের ব্যাট থেকে। উইকেটের চারিপাশে শট খেলে শামীম দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি চলে যান। মাত্র ২ রানের জন্য তিন অঙ্ক ছোঁয়া হয়নি তার। ৮৩ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় শামীম তার ইনিংসটি সাজান।

আরো পড়ুন:

ইফতেখারের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে মোহামেডানের হোঁচট

‘ছাড় দিয়ে’ ঢাকা লিগে ক্রিকেটাররা

এর আগে ইনিংসের শুরুতে নাঈম শেখ ও সাব্বির হোসেন রানের খাতা খোলার আগে আউট হন। জাকির হাসান ২ ও অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর ৪ রানে বিদায় নেন। নাজমুল অপু ২১ বলে ২৬ করে আউট হলেও চারে নামা শাহাদাত ৩৯ বলে ৫৪ রান করে কিছুটা আশার আলো দেখান। কিন্তু তার বিদায়ের পর শামীম পুরো একা হয়ে যান। লেজের ব্যাটসম্যান খালেদকে সঙ্গে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই বাকি পথটা পাড়ি দেন।

রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন ফাহাদ হোসেন ও হাবীব মেহেদী।

এর আগে আরাফাত সানী ও নাহিদুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে রূপগঞ্জ টাইগার্স বেশিদূর যেতে পারেনি। প্রাইম ব্যাংকের দুই স্পিনার ৩টি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট পেয়েছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রূপগঞ্জ আগে ব্যাটিং করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি। ৪৮.৪ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ২১৬ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন আব্দুল মজিদ। ৪৭ রান আসে তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে।

২ রানের জন্য শামীমের সেঞ্চুরির আক্ষেপ থাকলেও দলকে জিতিয়ে হাসি ফুটেছে তার মুখে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ