বদলে গেল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম
Published: 3rd, March 2025 GMT
বদলে যাচ্ছে পূর্বাচলে নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই স্টেডিয়ামের কাজ থমকে যায়। এবার নামও বদলে গেল। এখন থেকে ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এনসিজি) নামে পরিচিত হবে এই স্টেডিয়ামটি। সোমবার বিসিবি সভার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ।
পূর্বাচলে এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠের সঙ্গে একটি পাঁচ তারকা হোটেল, সুইমিং পুল, জিম, প্যাভিলিয়ন এবং মিডিয়া সেন্টার করার কথা ছিল। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত বছর আগস্টে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নেন সাবেক ক্রিকেটার ও নির্বাচক ফারুক আহমেদ। দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি বলেছিলেন, পরিবর্তন করা হবে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম ও নকশা। তারপর বাতিল করা হয় স্টেডিয়ামের দরপত্র।
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার প্রাথমিক দলে ‘নতুন মেসি’ এচেভেরি৭ মিনিট আগেএই স্টেডিয়ামের জন্য তৎকালীন বোর্ড সরকারের কাছ থেকে পূর্বাচলে নামমাত্র মূল্যে সাড়ে ৩৭ একর জমি পায়। কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের আওতায় সেই জমিতেই গড়ে তোলার কথা পূর্ণাঙ্গ এক ক্রিকেট কমপ্লেক্স।
আরও পড়ুন৬৫ বছর বয়সী স্পিনার একাই নিলেন ১০ উইকেট১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকার বেশি দামে ধান কেনায় বাজারে দাম বাড়তে পারে: ভূমি উপদেষ্টা
খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার কৃষকের কাছ থেকে বেশি দামে ধান কিনছে সরকার। অতীতে কেউ এই দাম দেয়নি। কৃষকরা এবার ধানের সঠিক মূল্য পেয়েছেন। এ জন্য বাজারে ধান-চালের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে সিন্ডিকেট নিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, গত আমন মৌসুমে ধান কেনায় কোনো সিন্ডিকেট কাজ করতে পারেনি। এবারও পারবে না। এমন হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে ধান বিক্রির টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে। গুদামে ধান দিতে এসে কোনো কৃষক হয়রানির শিকার হলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন দায়িত্বে থাকবে– জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সেটা প্রধান উপদেষ্টা জানেন। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমাকে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা।
চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলা থেকে সরকার ১৪ হাজার ৬৪৫ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আর সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে ১৩ হাজার ৮১৬ টন।