কৃষককে বাড়িতে ঢুকে কোপালেন যুবলীগ নেতা
Published: 3rd, March 2025 GMT
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ফোরকান বিশ্বাস (৭০) নামের এক কৃষককে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়ীয়া গ্রামে এ হামলা হয়। এ ঘটনার জন্য স্বজনেরা ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন সরদার ও তাঁর লোকজনকে দায়ী করেছেন। বর্তমানে আহত ফোরকান বিশ্বাস ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
ফোরকান বিশ্বাসের নাতনি লামিয়া বেগম বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে ৮-১০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হঠাৎ তাদের বাড়িতে হামলা করে। এদের মধ্যে যুবলীগ নেতা সুমন সরদার, তার ভাতিজা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফি সরদার, রাসেল গাজী, মহিবুল্লাহ গাজীকে চিনতে পেরেছেন। তারা বাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে এতে বাধা দেন ফোরকান বিশ্বাস। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
লামিয়ার বোন পিয়ারা বেগমের ভাষ্য, হামলা করেই থামেনি সন্ত্রাসীরা। তাঁর ঘর থেকে নগদ ১ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়েছে। হামলার পর ফোরকান বিশ্বাস অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এলাকাবাসীর সহায়তায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করেন ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন সরদার। তাঁর দাবি, তিনি বা তাদের কোনো লোক এ হামলার সঙ্গে জড়িত নন।
ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ারের ভাষ্য, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি; পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বল গ ন ত য বল গ সরদ র
এছাড়াও পড়ুন:
কাঠগড়ায় কাঁদলেন তুরিন আফরোজ, সান্ত্বনা দিলেন ইনু
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানির আগে আদালতের কাঠগড়ায় কেঁদেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে শুনানি হয়।
এদিন সকালে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের বিষয়ে শুনানি হয়। তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম আদালতকে বলেন, ‘তুরিন আফরোজকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি কিছু বলতে চান।’ বিচারকের অনুমতি নিয়ে তুরিন বলেন, ‘কোনোকালে আমার রাজনৈতিক পদ-পদবি ছিল না। আমি শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। পায়ের ব্যথার কারণে হাঁটতে পারি না। রিমান্ডের সময় আমার পায়ে আঘাত করা হয়েছিল।’ এ সময় তিনি ফুপিয়ে কাঁদতে থাকেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু তাঁকে সান্ত্বনা দেন।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘তুরিন আফরোজ মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’ এ সময় তুরিন পায়ে নির্যাতনের চিহ্ন বিচারককে দেখান। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।