মাত্র ২৪ জনের হাতে সোয়া ৩ লাখ কোটি ডলার
Published: 3rd, March 2025 GMT
বিশ্বে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে তো বাড়ছেই। এতে তৈরি হচ্ছে অতিধনীদের গোষ্ঠীতন্ত্র। এ রকম বিলিয়নিয়ার বা শতকোটিপতিদের খবর বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করছে। এই শতকোটিপতিদের মধ্যে আরেকটি শ্রেণি হলো সুপার বিলিয়নিয়ার, যাঁরা পাঁচ হাজার কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক, তাঁরা এই শ্রেণিভুক্ত।
বাস্তবতা হলো, বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রম এখন এই সুপার বিলিয়নিয়ারদের হাতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক সংবাদে বলা হয়েছে। তাঁদের হাতে যেমন সম্পদ বেশি জড়ো হচ্ছে, তেমনি বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতিপ্রকৃতিও এখন তাঁরাই নির্ধারণ করছেন। উদ্ভাবনী কাজের নেতৃত্বও দিচ্ছেন তাঁরা। এক কথায়, বিশ্ববাজারের রাশ তাঁদের হাতে।
আগে দেখে নেওয়া যাক, এই সুপার বিলিয়নিয়ারদের হাতে কী পরিমাণ অর্থ আছে। এঁদের সংখ্যা মাত্র ২৪। বিশ্বের শতকোটিপতিদের হাতে যে পরিমাণ সম্পদ আছে, তার ১৬ শতাংশই তাঁদের হাতে, যা ২০১৪ সালে ছিল ৪ শতাংশ।
এই ২৪ জনের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন বা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এটা প্রায় ফ্রান্সের জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনের সমপরিমাণ। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই তালিকায় কারা কারা আছেন এবং বিশ্বে তাঁরা কত ক্ষমতাধর।
শীর্ষে ইলন মাস্ক: বর্তমানে বিশ্বের অতিধনীদের তালিকায় শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত আছেন ইলন মাস্ক, যিনি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান হাত। ট্রাম্প প্রশাসন যেসব পরিবর্তনে হাত দিয়েছে, তার অনেকগুলোরই সূত্রধর ইলন মাস্ক। ফলে তাঁর গুরুত্ব সম্পর্কে আর কিছু বলার প্রয়োজন হয় না।
বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত এখন বৈদ্যুতিক গাড়ি। সেই বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলা। একই সঙ্গে তিনি স্টার লিঙ্ক ও এক্সের (সাবেক টুইটার) মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের মালিক। এক্স হাতে আসার পর অনেক ক্ষেত্রেই নিয়মকানুন শিথিল করেছেন ইলন মাস্ক। বিশেষ করে পোস্টের সত্যাসত্য নির্ধারণে। তার প্রভাব এখন অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমেও পড়েছে, যেমন ফেসবুকও সম্প্রতি নিয়মকানুন শিথিল করেছে।
এখন প্রযুক্তির দুনিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ওপেন এআই চ্যাটজিপিটি বিশ্ববাজারকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ওপেনআইতে ইলন মাস্ক ছিলেন। কিন্তু চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার আগে তিনি কোম্পানিটি ছেড়ে যান। এখন তিনি নিজেই একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি চালু করেছেন।
তবে চ্যাটজিপিটিতে বিনিয়োগ আছে প্রযুক্তি খাতের আরেক মহিরুহ কোম্পানি মাইক্রোসফটের। বাস্তবতা হলো, এখন বিশ্বের সব প্রযুক্তি কোম্পানি এআই খাতে বিনিয়োগ করতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা মনে করছে, ভবিষ্যৎ এখন এআইয়ের হাতে। ফলে কেউ আর এআইয়ের প্রতিযোগিতা থেকে দূরে থাকতে চায় না।
এখন দেখে নেওয়া যাক, এই সুপার বিলিয়নিয়ারদের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রধানত কোন কোন খাতে বিস্তৃত। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিলাসবহুল পণ্য, মহাকাশ গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আর্থিক খাত—এমন অনেক খাতেই তাঁদের ব্যবসা আছে।
জেফ বেজোস: বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও সুপার বিলিয়নিয়ার গোষ্ঠীর অন্যতম আরেকজন হলেন প্রযুক্তিভিত্তিক বৈশ্বিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। মূলত অনলাইনে বই বিক্রির মাধ্যমে তিনি অ্যামাজনের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এখন দুনিয়াজুড়ে এমন কোনো পণ্য নেই, যা এই অ্যামাজনে পাওয়া যায় না। বিশ্বের প্রায় সবখানেই তারা সেবা দিয়ে থাকে। বর্তমানে অনলাইনে পণ্য বিক্রি সারা বিশ্বেই তুমুল জনপ্রিয়। সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পাওয়ার পাশাপাশি এসব অনলাইন থেকে মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই ঘরে বসে কেনাকাটা করতে পারে। ফলে আধুনিক পৃথিবীতে ই-কমার্স ব্যবসার গুরুত্ব বাড়ছে।
এবার দেখে নেওয়া যাক, এই সুপার বিলিয়নারদের মধ্যে কারা কারা আছেন এবং তাঁদের সম্পদের পরিমাণই বা কত। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন ইলন মাস্ক; তাঁর সম্পদমূল্য ৪১৯.
মার্ক জাকারবার্গ: সম্পদমূল্যে পঞ্চম স্থানে আছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ; তাঁর সম্পদমূল্য ২২০ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ২২ হাজার ৮০ কোটি ডলার।
সুপার বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছেন সের্জেই ব্রিন; তাঁর সম্পদমূল্য ১৬০ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১৬ হাজার ৫০ কোটি ডলার। সপ্তম স্থানে থাকা স্টিভ বালমারের সম্পদমূল্য ১৫৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার।
ওয়ারেন বাফেট: ১৫৪ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার ৪২০ কোটি ডলার নিয়ে অষ্টম স্থানে আছেন ‘বিনিয়োগ গুরু’ খ্যাত ওয়ারেন বাফেট। নবম স্থানে রয়েছেন জেমস ওয়ালটন; তাঁর সম্পদমূল্য ১১৭.৫ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। দশম স্থানে থাকা স্যামুয়েল ওয়ালটনের সম্পদমূল্য ১১৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার।
তালিকায় ১১তম স্থানে আছেন আমানিকো ওর্তেগা; তাঁর সম্পদমূল্য ১১৩ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। ১১০ বিলিয়ন বা ১১ হাজার কোটি ডলার নিয়ে ১২তম স্থানে এলিস ওয়ালটন। ১৩তম স্থানে থাকা জেনসেন হুয়ানের সম্পদমূল্য ১০৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৮৪০ ডলার।
বিল গেটস: ১০৬ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ নিয়ে ১৪তম স্থানে আছেন বিল গেটস। ১৫তম স্থানে থাকা মাইকেল ব্লুমবার্গের সম্পদের মূল্য ১০৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার। ১০০ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৯০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক লরেন্স পেইজ আছেন ১৬তম স্থানে।
মুকেশ আম্বানি: তালিকায় ১৭তম স্থানে আছেন ভারতের মুকেশ আম্বানি; তাঁর সম্পদমূল্য ৯০ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৬০ কোটি টাকা ডলার। ১৮তম স্থানে থাকা চার্লস কোচের সম্পদমূল্য ৬৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার। ১৯তম স্থানে আছেন জুলিয়া কোচ; তাঁর সম্পদের মূল্য ৬৫ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৫১০ কোটি ডলার।
সুপার বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে ২০তম স্থানে আছেন ফ্রাঁসোয়া মেয়ার্স; যাঁর সম্পদমূল্য ৬১ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ১৯০ কোটি ডলার।
গৌতম আদানি: ২১তম স্থানে থাকা ভারতের গৌতম আদানির সম্পদের মূল্য ৬০ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৬০ কোটি ডলার। ৫৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৯৮০ কোটি ডলার নিয়ে ২২তম স্থানে আছেন মাইকেল ডেল। ২৩তম স্থানে থাকা ঝং শ্যানশ্যানের সম্পদমূল্য ৫৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার। ৫৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার নিয়ে ২৪তম স্থানে আছেন প্রোজোগো পাংগেতসু।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম ক ৪ ব ল য ন ব এই স প র ব ল ইলন ম স ক ১১ হ জ র ১০ হ জ র অ য ম জন পর ম ণ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭% শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন, যাকে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে অনেক দেশ। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।
বাংলাদেশের প্রধান দুই রপ্তানি বাজারের একটি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের একটি বড় অংশ রপ্তানি হয় দেশটিতে। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি হয় প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন (৮৪০ কোটি) ডলার, যা প্রধানত তৈরি পোশাক। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তান ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন (৭৩৪ কোটি) ডলারে।
নতুন করে উচ্চ মাত্রায় এই শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ২টা) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে শুল্ক ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে উপস্থিত সাংবাদিকসহ সমবেতদের উদ্দেশে বক্তব্যের শুরুতেই ট্রাম্প বলেন, ‘আজ খুব ভালো খবর’ থাকবে। এ সময় দর্শক সারি থেকে করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়।
এই দিনকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস’ অভিহিত করেন ট্রাম্প। নতুন শুল্ক আরোপকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা হিসেবে উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন, এই দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ দিন ধরে অপেক্ষা করছে।
ট্রাম্পের পাল্টা এই শুল্ক আরোপে ভারতের পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পাকিস্তানের পণ্যের ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের পণ্যের ওপর ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার পণ্যে ৪৪ শতাংশ, তাইওয়ানের পণ্যে ৩২ শতাংশ, জাপানের পণ্যে ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ, থাইল্যান্ডের পণ্যে ৩৬ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডের পণ্যে ৩১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যে ৩২ শতাংশ, মালয়েশিয়ার পণ্যে ২৪ শতাংশ, কম্বোডিয়ার পণ্যে ৪৯ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের পণ্যে ১০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্যে ৩০ শতাংশ, ব্রাজিলের পণ্যে ১০ শতাংশ, সিঙ্গাপুরের পণ্যে ১০ শতাংশ, ইসরায়েলের পণ্যে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনের পণ্যে ১৭ শতাংশ, চিলির পণ্যে ১০ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ার পণ্যে ১০ শতাংশ, তুরস্কের পণ্যে ১০ শতাংশ, কলম্বিয়ার পণ্যে ১০ শতাংশ আরোপ করা হয়েছে।
অন্যান্য যেসব দেশের পণ্যের ওপর বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে মিয়ানমারের পণ্যে ৪৪ শতাংশ, লাওসের পণ্যে ৪৮ শতাংশ এবং মাদাগাস্কারের পণ্যের ওপর ৪৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
পাল্টা এই শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে থাকা ট্রাম্প বলেছেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কখনো কখনো ‘বন্ধু শত্রুর চেয়ে খারাপ হয়’।
যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের বিদেশি গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় যেসব গাড়ি উৎপাদন করা হয় তার ৮০ শতাংশের বেশি সেদেশে বিক্রি হয়। আর জাপানে যেসব গাড়ি বিক্রি হয় সেগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি সেদেশে তৈরি হয়। এসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি বিক্রি হয় খুব সামান্য।
মার্কিন কোম্পানি ফোর্ড অন্যান্য দেশে খুব কম গাড়ি বিক্রি করে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, অন্য যে কোনো দেশে তৈরি মোটরযানের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হবে এবং এটা আজ মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হবে।
শুল্ক আরোপের ঘোষণাকে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রতিফলন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আজকের দিনকে আমেরিকান শিল্পের ‘পুনর্জন্ম’ এবং আমেরিকাকে ‘আবার সম্পদশালী’ করার দিন হিসেবে স্মরণ করা হবে।
এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বাধার মুখে রয়েছে।
অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধা আরও খারাপ অবস্থা তৈরি করেছে।
বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মেধাসত্ত চুরিসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপের অভিযোগ করেছেন তিনি।