রমজান মাসে নাক কান গলার রোগে ওষুধের ব্যবহার কীভাবে করবেন
Published: 3rd, March 2025 GMT
সাইনোসাইটিসের ক্ষেত্রে
সাইনোসাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে নাকে স্প্রে বা ড্রপ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। অনেক রোগীর প্রশ্ন থাকে, রোজা রেখে দিনের বেলায় নাকে ওষুধ দেওয়া যাবে কি না। সে ক্ষেত্রে সাহ্রির সময় ও ইফতারের পর নাকে ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা যায়। সেভাবে ডোজ সমন্বয় করে নেওয়া যাবে।
কান পাকা ও কানের অন্যান্য সমস্যা
কান পাকা বা কানে অন্যান্য রোগ হলে অনেক সময় কানে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে সাহ্রির সময় ও ইফতারের পর কানে ওষুধ ব্যবহার করা ভালো। রোজা রাখা অবস্থায় কানে ওষুধ দেওয়া যাবে না। কারণ, কানের পর্দায় যদি ছিদ্র থাকে, এ ছিদ্রের মাধ্যমে ওষুধ গলায় প্রবেশ করতে পারে।
আরও পড়ুনবয়সী মা–বাবা রোজা রাখতে চাইলে যেসব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন১৮ মার্চ ২০২৪টনসিল প্রদাহ বা গলার অন্যান্য সংক্রমণ
গলায় টনসিল প্রদাহে বা অন্যান্য সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দিনে চারবার, কিছু আট ঘণ্টা পরপর ও অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক দুবার বা একবার খেতে হয়। পবিত্র রমজানে আমরা দিনে এক বা দুবার ওষুধ সেবন করতে হয়, এমন ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকি, যেন রোগী ইফতার করে বা সাহ্রির সময় ওষুধ খেতে পারেন।
আরও পড়ুনরোজা রেখে পেট খারাপ হলে কী করবেন২৬ মার্চ ২০২৪কোনো রোগীর চেকআপ লাগলে, তা রাতে করানো যেতে পারে। রমজান মাসে রোজাদারদের খাদ্যাভ্যাস একটা নিয়মনীতির মধ্যে চলে আসে। তাই রোজাদাররা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পান এবং শরীর ও মন সুস্থ থাকে। এমনকি পেপটিক আলসার, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে। তাই রোগী খুবই ভালোভাবে দৈনন্দিন জীবন যাপন করতে পারেন।
অনেকে অনেক ইফতারের আয়োজন করেন ও তেলেভাজা বেশি খাদ্য গ্রহণ করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মনে রাখবেন, পবিত্র রমজান হলো সংযমের মাস। তাই ইফতার ও সাহ্রির সময় সংযমী হওয়া প্রয়োজন।
ডা.
এম আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক, ইএনটি, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ব যবহ র ক অন য ন য র র সময় রমজ ন ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
ইফতার করতে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচবিবিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব গোলাম নাছির (বিপ্লব) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আজ সোমবার বিকেলে ইফতার করতে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার ফিচকারঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাঁচবিবি থানার ওসি মইনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত গোলাম নাছির পাঁচবিবি উপজেলার মধ্য মালঞ্চ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা গোলাম নাছির পারিবারিক কাজে সোমবার পাঁচবিবি উপজেলা সদরে এসেছিলেন। তিনি ইফতার করতে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ইফতারের আগে ফিচকার ঘাট এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে ঘোরানোর সময় মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গোলাম নাছির মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কের ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাঁকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম সোমবার রাত সোয়া দশটায় প্রথম আলোকে বলেন, ইফতার করতে বাড়িতে যাওয়ার সময় পাঁচবিবি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।