কিছু মানুষ ভয়ংকর আক্রমণাত্মক হয়ে আছে: স্বস্তিকা
Published: 3rd, March 2025 GMT
পশুপাখি নিয়ে কাজ করেন টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। সম্প্রতি পশুপ্রেম এবং তাদের নিয়ে কাজ করার জন্য সম্মানিতও হয়েছেন তিনি। এর ঠিক পর শেয়ার করেন একটি ইঙ্গিত পূর্ণ পোস্ট, যা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিছু কিছু মানুষ ভয়ংকর আক্রমণাত্মক হয়েই আছে। ধর্ষণ করছে, খুন করছে। আমাদের মেয়েদের ভয় লেগেই আছে বাস, ট্রেন, অফিস-বন্দর, বাড়ি কি স্কুল-কলেজে। কি করছেন সেটার ব্যাপারে যদি একটু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন প্লিজ!’
অনেকেই এদিন অভিনেত্রীর পোস্টে মন্তব্য করেছেন। কেউ তাকে সমর্থন করেছেন। কেউ আবার সমালোচনা করেছেন।
এক ব্যক্তি অভিনেত্রীর ভাবনার বিরোধিতা করে লেখেন, ‘রাস্তার কুকুর মাঝেমধ্যেই কামড়ায়। সেই কামড় খেলে যে ইঞ্জেকশন খেতে হয় বেশিরভাগ হাসপাতালে সেই ওষুধ পাওয়া যায় না। আমিও কুকুরপ্রেমী। কুকুর থেকে ভয় পাওয়ার সাথে খুন-ধর্ষণকে জুড়ে দেওয়ার ন্যাকামিটা হাস্যকর লাগলো। রাস্তার কুকুরের ভ্যাক্সিনেশন, স্টেরিলাইজেশন, হাসপাতালে ওষুধ মজুত রাখার জন্য জনগণ যাদের পয়সা দিয়ে পোষে, সেই সরকারী মন্ত্রী সান্ত্রীদের সঙ্গে যখন পরের বার ওঠবস করবেন, তখন তাদের এই লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে এই বিষয়ে অনুরোধ জানানোর অনুরোধ জানিয়ে রাখলাম। আপনি সেলিব্রেটি। আপনার কথায় কাজ হতে পারে।’
তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, মানুষ অন্যায় করলে তো একটা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে বিচার হয়। কুকুর ভুলভাবে নিরীহ মানুষকে কামড়ালে তার বিচার কোথায় হয়? আপনি তুল্যমূল্যটায় আনলেন তাই বললাম।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'প্রসঙ্গ যাই হোক না কেন এই মহিলার সব সময় রেপ ভিকটিম কার্ড খেলতেই হয়।
অনেকেই আবার স্বস্তিকাকে সমর্থন করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘একদম ঠিক কথা বলেছেন।’ দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, ‘সপাটে সত্যি কথা বলে দিলেন।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এদিন একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই তিনি জানালেন নির্বাকদের কণ্ঠ হয়ে ওঠার জন্য এই সম্মান পেয়েছেন। স্বস্তিকা লেখেন, ‘এই পুরস্কারটা আমার জীবনের সাবিত্রী এবং ফুলকিদের জন্য।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আগে স্থানীয় নির্বাচন চান চরমোনাই পীর ও ভিপি নূর
জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে দল দুটির বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতেও ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন দল দুটির নেতারা।
ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ একমত হয়েছে।
রেজাউল করীম বলেন, গত ৫৩ বছরে পেশিশক্তি প্রয়োগ করে নির্বাচনের মাধ্যমে অযোগ্য লোকজন ক্ষমতায় বসে দেশকে অশান্ত করেছিল। সে জন্য আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে একমত হয়েছি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক বলেন, কিছু মৌলিক সংস্কার না হলে দেশে আবার স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট শাসন তৈরি হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নির্মম গণহত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাইছি। তাদের রাজনীতির সুযোগ পাওয়া উচিত নয়।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ অনেক আগে থেকেই একমত বলে জানিয়েছেন নূর। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে স্থানীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে যারা জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও নির্বাচন বাতিল করা দরকার। গত আট মাসে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় সেবা পেতে মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কিছু মানুষ জোর করে আধিপত্য বিস্তার করছে। সে জন্য স্থানীয় নির্বাচন কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারের জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। আবার জাতীয় ঐকমত্যেরও প্রয়োজন। অন্তত তার আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে। বাংলাদেশ এমন রাষ্ট্র হবে, যেখানে ইসলামী আদর্শবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা হবে না।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ছিলেন। এছাড়া গণঅধিকারের মুখপাত্র ফারুক হাসান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।