সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় ৪৯ হাজার কোটি টাকা কমিয়েছে সরকার। ফলে এখন চূড়ান্ত এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। এডিপির মূল আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি কমানো হয়েছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে।

সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) উপস্থাপন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এনইসি সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য জানান।

আরএরডিপিতে বরাদ্দ কমার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাত। এই তিন খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৪৫ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ২০ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা, যা ছিল মোট বরাদ্দের ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। কিন্তু আরএডিপিতে সেখান থেকে ১২ হাজার ২১৯ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। সেই হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৮ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা, যা আরএডিপিতে মোট বরাদ্দের মাত্র ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।
অন্যদিকে, শিক্ষা খাতে চলতি অর্থবছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই খাতে ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যা ছিল মোট বরাদ্দের ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ। আরএডিপিতে শিক্ষা খাত থেকে ১১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা বাদ দেওয়া হয়েছে, সেই হিসেবে আরএডিপিতে মাত্র ৯.৪২ শতাংশ বরাদ্দ থাকছে শিক্ষা খাতে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আরএডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে ১০টি খাত। এখাতগুলোর জন্য মোট বরাদ্দে প্রায় ৮১ দশমিক ৩১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। খাত ভিত্তিক বরাদ্দের চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য শিক্ষার মতো সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া প্রায় সবখাতেই কমবেশি বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। শুধুমাত্র পরিবেশ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে কমানো হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৪ কোটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত থেকে ৮ হাজার ৮৫৪ কোটি , গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধা খাত থেকে ৫ হাজার ২২৩ কোটি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন থেকে ১ হাজার ৩৩ কোটি, কৃষি থেকে ৩ হাজার ৫৮৮ কোটি, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাত থেকে ২ হাজার ৪৩ কোটি এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৪৫৯ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। তবে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ৫৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এতে এই খাতে আরএডিপিতে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১১ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা।

জানা গেছে, আরএডিপিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জন্য সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য ২১ হাজার ৪৭৫ কোটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য ১৮ হাজার ৬২৪ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ১২ হাজার ৭৬৪ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্য ১২ হাজার ১২৯ কোটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০ হাজার ২২৭ কোটি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১০ হাজার ২১১ কোটি, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭ হাজার ১৫৩ কোটি, সেতু বিভাগের জন্য ৫ হাজার ৮৪৮ কোটি এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জন্য ৫ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এএ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ব ভ গ র জন য ম ট বর দ দ বর দ দ র পর বহন দশম ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৩ মাসে আয় ৯৯ কোটি টাকা, আয়ের অর্ধেকই মুনাফা

চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ৯৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস। আর সব ধরনের খরচ বাদ দেওয়ার পর শত কোটি টাকার ব্যবসার প্রায় অর্ধেকটাই মুনাফা করেছে কোম্পানিটি।

সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানি গত জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই ৩ মাসে মুনাফা করেছে ৪৮ কোটি টাকা। আর এই সময়ে ব্যবসা করেছে ৯৯ কোটি টাকার। অর্থাৎ কোম্পানিটি যা আয় করে, সব খরচ বাদ দেওয়ার পর তার প্রায় অর্ধেকই মুনাফা। কোম্পানিটির গত জানুয়ারি-মার্চের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। আর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিবেদনের এসব তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেওয়া কোম্পানিটির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ৭ কোটি টাকার বেশি বা প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অথচ এই সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বা ব্যবসা বেড়েছে সোয়া ২ কোটি টাকা বা সোয়া ২ শতাংশের মতো। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটি ব্যবসা করেছে ৯৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সাবমেরিন কেব্‌লসের আর্থিক বছরের হিসাব করা হয় জুলাই-জুনের অর্থবছরের হিসাবে। সেই হিসাবে, গত মার্চ শেষে কোম্পানিটির তিনটি প্রান্তিক শেষ হয়েছে। শেয়ারবাজারের নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে প্রতি প্রান্তিক শেষে আয়-ব্যয়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়। তার আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করতে হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষে গতকাল সাবমেরিন কেব্‌লস তাদের ৯ মাসের (জুলাই-মার্চ) আয়-ব্যয় ও মুনাফার তথ্য প্রকাশ করেছে।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি গত ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ২৯৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩৩৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, ১ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ৪৪ কোটি টাকার ব্যবসা কমেছে। তবে ৯ মাসের বিবেচনায়ও দেখা যায়, কোম্পানিটি যে পরিমাণ আয় বা ব্যবসা করে, তার প্রায় অর্ধেকই মুনাফা। গত জুলাই-মার্চে ২৯৪ কোটি টাকার আয়ের বিপরীতে সব ধরনের খরচ বাদ দিয়ে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৪০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৩৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা করে কোম্পানিটি মুনাফা করেছিল ১৬৮ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৩ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক
  • বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
  • সরকারি অনুদানের সিনেমা জমা দেওয়ার সময় বাড়লো
  • যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তির শর্ত প্রস্তুত, আজ থেকে আলোচনা
  • আগে কমেছিল নগদ সহায়তা, এখন বাড়ল রপ্তানি মাশুল
  • সার কেনাসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুই প্রস্তাব অনুমোদন
  • অর্ধবার্ষিকে হামিদ ফেব্রিক্সের লোকসান বেড়েছে ১২৬১.৯০ শতাংশ
  • ৩ মাসে আয় ৯৯ কোটি টাকা, আয়ের অর্ধেকই মুনাফা
  • ১৫% নগদ লভ্যাংশ দেবে ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স
  • ভারত–যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি কত দূর এগোল, কী কী করেছে ভারত