নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘অবকাঠামোগত পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দুই ক্যাটাগরির পদে জনবল নেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

১. পদের নাম: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: সরকার স্বীকৃত ইনস্টিটিউট/প্রতিষ্ঠান থেকে সিভিল প্রকৌশলে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড ১০)

বয়স: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

২.

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং টাইপিংয়ের সর্বনিম্ন গতি বাংলা প্রতি মিনিটে ২০ ও ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ২০ শব্দ।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড ৯)

বয়স: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর

আরও পড়ুনবেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৪০০ জনকে নিয়োগ১ ঘণ্টা আগে

যেভাবে আবেদন

প্রার্থীকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত চাকরির আবেদনপত্রের ফরমেটে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে শুধু পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি সত্যায়িত ছবি সংযুক্ত করতে হবে। অন্য কোনো কাগজপত্র সংযুক্ত করার প্রয়োজন নেই। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র, আবেদনপত্রে উল্লেখিত সব সনদ (শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা (যদি থাকে), জাতীয় পরিচয়পত্র, পৌরসভা চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার/চেয়ারম্যান/প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্বের সনদ) ও ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদের কপি প্রদর্শন করতে হবে। আবেদনপত্র মেরিন একাডেমির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা

প্রকল্প পরিচালক, ‘অবকাঠামোগত পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম-৪২০৬। শুধু ডাকযোগে পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে আবেদনপত্রের একটি কপি এই মেইলে [email protected] পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়

১৮ মার্চ ২০২৫।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা৪ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ ম র ন এক ড ম কর ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

রোগী এলেই সদর হাসপাতালে রেফার

কালাই পৌর শহরের সড়াইল মহল্লার বাসিন্দা আবু বক্কর। তিনি শিশুসন্তানকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন চিকিৎসকের কাছে। এসে দেখেন, শিশুবিশেষজ্ঞ নেই। কর্তব্যরত এক চিকিৎসক তাঁকে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দেন। তাঁর ভাষ্য, এখানে চিকিৎসক থাকলে আমার অর্থ ও সময় সাশ্রয় হতো। এ সময় রাব্বি হোসেন নামে একজন বলেন, ‘একজন রোগীরও চিকিৎসা করায় না। সব রোগীকে জয়পুরহাট সদরে পাঠায় (রেফার)। তাহলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাভ কী?’
প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস কালাই উপজেলায়। এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসক, নার্স ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সংকটে দরিদ্র ও অসহায় মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর বাড়তি চাপ থাকায় চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ছয়জন। গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। সার্জারি, শিশুস্বাস্থ্য, চক্ষু, কার্ডিওলজি, নাক-কান-গলা, অর্থোপেডিকস এবং ডেন্টাল সার্জনের দুটি পদের মধ্যে একটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এসব পদ পূরণে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিন গেলে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিন গড়ে ২৫০-৩০০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। ৫০টি শয্যা থাকলেও ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। এতে অনেক রোগীর বারান্দা, সিঁড়ি এবং মেঝেতে থাকতে হয়। চিকিৎসক সংকটে তাদের সময়মতো সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক রোগীকে বাড়তি অর্থ খরচ করে অন্যত্র সেবা নিতে হচ্ছে। 
শুধু চিকিৎসক নয়, হাসপাতালের তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ১৯৪ পদের মধ্যে ৯৩টি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, মিডওয়াইফ, চালক থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ প্রতিটি বিভাগে জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। সার্জারি বিভাগে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর থাকার পরও চলে না। ফলে রাতে অন্ধকারে থাকতে হয় রোগীদের। 
ওয়ার্ডগুলোয় পানির সংকট ও টয়লেটের নোংরা অবস্থা রোগীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। জরুরি বিভাগের বেশির ভাগ পরীক্ষা বেসরকারি ক্লিনিক থেকে করাতে হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার বিনইল গ্রামের যমুনা বিবি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমি খুবই অসুস্থ থাকায় চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম। গাইনি ডাক্তার না পাওয়ায় একজন দালালের সঙ্গে গিয়ে ক্লিনিকে চিকিৎসা নিই। এতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।’
অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসক সংকটের সুযোগ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিজেদের ‘ডাক্তার’ পরিচয় দিয়ে রোগী দেখছেন। আইন অনুযায়ী, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ চিকিৎসক পরিচয় ব্যবহার করতে পারেন না। অন্যথায় রোগী ভুল চিকিৎসার শিকার হতে পারেন। দালাল চক্র এ সুযোগে রোগীদের ভুল বুঝিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছে। সানজিদা নামে এক রোগী অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠিকমতো ওষুধ দেয় না। নার্স ও অন্য কর্মচারীরা টিকিট কেটে আগে ওযুধ নিয়ে নেয়। সাধারণ রোগীরা ওষুধ পায় না।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুব উল আলম বলেন, সীমিত জনবল এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে যতটুকু সম্ভব সেবা দেওয়া হচ্ছে। শূন্যপদের বিপরীতে জনবল এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ ছাড়া মানসম্মত সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্রুত দক্ষ জনবল নিয়োগ দিন
  • পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা বেহাল
  • বিআইসিএমে চাকরি, গাড়িসহ মূল বেতন পৌনে ২ লাখ, দ্রুত আবেদন করুন
  • চিকিৎসকের অভাবে অলস পড়ে আছে দামি সব যন্ত্রপাতি, সেবাবঞ্চিত রোগীরা
  • রোগী এলেই সদর হাসপাতালে রেফার