বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
Published: 3rd, March 2025 GMT
চট্টগ্রামে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১২টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার জেল রোডে শাহ আমানত মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি মাজার এলাকায় ভবঘুরে হিসেবে বসবাস করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছিনতাইকারী শাহেদ ওরফে তোবেলকে (৩০) ধাওয়া দিয়ে ধরে মারধর করেন স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, শাহেদ পেশাদার ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি নিয়ে জেল রোডে ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় মাজার এলাকায় থাকা ভবঘুরে এক যুবকের সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাহেদ তার ডান বাহুতে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার রক্তক্ষরণ হয়। টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শাহেদকে উদ্ধার করে প্রথমে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এবং রাতে সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার কাছ থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মাজার এলাকায় থাকা লোকজন জানিয়েছেন, শাহেদ মাদকাসক্ত। ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। নিহত ভবঘুরে ওই যুবকও মাদকাসক্ত। তাদের মধ্যে কি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।
কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের একটি টিম আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। তাকে কি ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, নাকি দুজনের মধ্যে অন্য কোনো বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম জ র এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ১৫
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার শোলাকুড়ায় সালিশি বৈঠকে পক্ষপাতিত্বের জেরে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং শোলাকুড়া বাজারের ১৮-২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কয়েক দফার সংঘর্ষ চলাকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংড়া ইউনিয়নের পীরবাড়িতে একই ইউনিয়নের মুলিয়া এবং সাকরাইল গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে মুলিয়া গ্রামে একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন। বৈঠক চলাকালে শুকুর মাহমুদের পক্ষপাতিত্বমূলক কথার জের ধরে পুনরায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ গুরুতর আহত হন। এ খবর তার নিজ গ্রাম সহদেবপুর পৌঁছালে তারাও এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এরপর ত্রিমুখী সংঘর্ষে সালিশি বৈঠকে আসা স্থানীয় বিএনপির অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়াও কয়েক জন ব্যক্তি সামান্য আহত হন। এ সময় শোলাকুড়া বাজারে হামলা চালিয়ে ১৮-২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং দোকানগুলোতে লুটপাট চালানো হয়।
এদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের তিন দিকে তিন গ্রামের বাসিন্দারা অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এসময় ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দাখিল করেনি।
ঢাকা/কাওছার/রফিক