সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বঙ্গবন্ধুর নাম সংবলিত বিভিন্ন স্থাপনার মতো এবার তার নামে রাখা দেশের একমাত্র স্যাটেলাইটটিরও নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ পরিবর্তনের ফলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এখন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১।

সোমবার (৩ মার্চ) টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ (বিএস-১) এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১ (বিএস-১) করার প্রস্তাব মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করেছেন। এমতাবস্থায়, এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম হাতে নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের আমূল সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.

মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর গত সাড়ে ছয় মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নাম সংবলিত বহু স্থাপনার নাম পরিবর্তন করেছে বর্তমান সরকার। সে ধারাবাহিকতায় এবার দেশের একমাত্র স্যাটেলাইটটিরও নাম পাল্টে গেল।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: স য ট ল ইট ১

এছাড়াও পড়ুন:

মে দিবসে মঞ্চে ‘মার্ক্স ইন সোহো’ 

আগামী ১ মে  আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস এবং ৫মে কার্ল মার্ক্স এর ২০৮তম জয়ন্তী উদযাপনকল্পে নাট্য সংগঠন বটতলা এবং যাত্রিক-এর  যৌথ প্রযোজনা ‘মার্ক্স ইন সোহো’ নিয়ে  আবার মঞ্চে আসছে।  টানা তিন দিন তিনটি প্রদর্শনী থাকছে এই আয়োজনে। 

প্রখ্যাত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও তাত্ত্বিক হাওয়ার্ড জিন রচিত, জাভেদ হুসেন অনুদিত এবং নায়লা আজাদ নির্দেশিত এই নাটকটি প্রথম মঞ্চে আসে ২০২১ সালের অক্টোবরে।

মৃত্যুর প্রায় ১০০ বছর পরে কার্ল মার্ক্স কি সত্যি সোহোতে বা পৃথিবীতে ফিরেছেন? ফেরার প্রয়োজনীয়তাও কি আছে? এই যে পৃথিবীতে বাস করছি আমরা যেখানে নানা বৈষম্য বিদ্যমান, শ্রমিক তাঁর ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত, তাঁর জীবন যেখানে মূল্যহীন, যেখানে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা এবং ভেতরে ভেতরে চিৎকার- রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা হঠাৎ হঠাৎ বাইরে বেরিয়ে আসা দু-একটি চিৎকারেরও টুটি চেপে ধরা- এমন অস্থির সময়ে মানুষের মুক্তি কোথায়? গোটা বিশ্ব যেখানে পুঁজিবাদের দাস, সেখানে কার্ল মার্ক্স কি ফিরছেন এসব থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে নাকি তাঁর নামে চালু বদনামগুলো পরিস্কার করতে? এসবই জানা যাবে নাটকের নানা স্তরে, বোঝা যাবে শুধু একজন দার্শনিক নন, এক ব্যক্তি কার্ল মার্ক্সকেও।

দুনিয়ার অন্যতম জরুরি দার্শনিক কার্ল মার্ক্স, যিনি উনবিংশ শতাব্দী থেকে আজও মানুষের সমাজের ইতিহাস ও রাজনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে চলেছেন তাকে নিয়ে নাটক মার্ক্স ইন সোহো বা সোহোতে মার্ক্স! হাওয়ার্ড জিন তাঁর সোহোতে মার্ক্স নাটকে দুনিয়া কাঁপানো চিন্তক মানুষটির দৈনন্দিন প্রেম বা খেদের ভেতর দিয়ে সত্যিকারের একজন মানবিক স্বাপ্নিক দ্রষ্টার ছবি এঁকেছেন। এর পেছনে জিনের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু মার্ক্স নন, বরং মার্ক্সের চিন্তা বা বিশ্লেষণ। দেড়শো বছর পেরিয়ে এসেও কী অসামান্য  প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি সেসব চিন্তা সেটা দেখানোই জিনের উদ্দেশ্য। নাটকটি নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বটতলার সাথে যুক্ত হয় যাত্রিক।

 বটতলা এবং যাত্রিক-এর এই যৌথতা জিনের দেখা মানবিক মার্ক্সকে এবং তাঁর অসামান্য বিস্ফোরক  বিপ্লবী চিন্তাকে আরও  বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে এটুকুই প্রত্যাশা।   
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ